জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আকাশ আলী, তামান্না তাবাসসুম ও আবুল বাসার উপর হামলা প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা অভিযোগ করেছেন, হামলার বিচার না করে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদেরকে নীতিমালা পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক।
অভিযুক্ত মার্কেটিং বিভাগের ছাত্রদল কর্মী ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অনিক কুমার দাশ। অনিক কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসভাপতি কাজী জিয়া উদ্দিন বাসেতের একনিষ্ঠ কর্মী।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন ও দ্রুত বিচার চান।
রসায়ন বিভাগের ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী ২০২০ -২০২১ সেশনের তামান্না তাবাসসুম বলেন, ‘আমরা প্রক্টরের কাছে গিয়েছিলাম, তারা আমাদের কোনো সহযোগিতা করে নাই। আমরা তাহলে কার কাছে যাবো? আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
রসায়ন বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী আকরাম হোসেন বলেন, ‘গতকালের ঘটনার পর আমরা প্রক্টরের কাছে যাওয়ার পর তিনি আমাদের বলে ২০০৫ সালের নীতিমালা পড়ার জন্য। এ বিষয়ে তারা কি পদক্ষেপ নিবে সেই ব্যাপারে তিনি আমাদের কিছু জানাতে পারেনি। তারা আমাদেরকে ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। যদি এ ঘটনায় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নেয় তাহলে তাহলে আমরা প্রশাসন ও যে দলের প্রশ্রয়ে এ ঘটনা ঘটেছে তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন গড়ে তুলবে। সেই সাথে আমরা ক্লাস বর্জনের ডাক দিব।’
রসায়ন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের আব্দুল কাহহার জামিল বলেন, ‘গতকালের ঘটনায় প্রক্টর স্যার আমাদের কোনো খোঁজ নেননি। রাত ১০টার পর একজন সহকারী প্রক্টরকে পাঠান। তিনি চিকিৎসার জন্য কিছু টাকা দেন। কিন্তু মেইন প্রক্টর স্যারের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন। গত এক বছরে আমাদের বিভাগের শিক্ষার্থীরা তিনটি হামলার অভিযোগ করলেও সুষ্ঠু বিচার পায়নি। যদি ওই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতো, তাহলে আজকে আমাদের এখানে দাঁড়াতে হতো না। আমরা এই ঘটনার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিচারের নামে টালবাহানা করা হয়। আমাদের প্রক্টর অফিস থেকে ভয় দেখিয়ে অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়। এছাড়া আমাদের নানারকম হুমকির ভয় দেখনো হয়। বলা হয়, যদি ক্যাম্পাসের বাইরে কেউ হামলা করে তাহলে সে দায় প্রক্টর অফিস নিবে না।’
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, ‘সবকিছুর জন্য সময় দরকার। রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা যেভাবে বিচার চাচ্ছে,সেটা এত দ্রুত সম্ভব না। আগের একটা কমিটি আছে সে কমিটির কাছেই আমি এটার তদন্ত হস্তান্তর করেছি। হ্যাঁ,আমি তাদের ২০০৫ সালের নীতিমালা পড়তে বলেছি। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামীকাল ভর্তি পরীক্ষা আছে।সব মিলিয়ে ব্যস্ততার মধ্যে আছি।’
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2025 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh