এএসপি আনিসুল করিম হত্যা

মানসিক হাসপাতালে বিক্ষোভ, জরুরি সেবা বন্ধ

পুলিশের সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিম হত্যা মামলায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেবার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে।

চিকিৎসকরা ডা. মামুনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি নিশ্চিত করার দাবিতে সকাল থেকে হাসপাতালের পরিচালক বিধান রঞ্জন রায় ও সিনিয়র চিকিৎসকদের অবরুদ্ধ করে রেখে বিক্ষোভ করেছে। ফলে তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি সেবা বন্ধ হয়ে যায় দেশের মানসিক স্বাস্থ্য সেবা দানকারী শীর্ষস্থানীয় এ হাসপাতালটিতে।

হাসপাতালটির সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ জানান, যে প্রক্রিয়ায় একজন চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে তা অগ্রহণযোগ্য।

প্রসঙ্গত, ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুনকে মঙ্গলবার হাসপাতাল সংলগ্ন তার বাসা থেকে আটক করে পুলিশ। তাকে আটকের খবর দিয়ে পুলিশের তেজগাঁও জোনের ডিসি হারুন অর রশীদ সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন যে, আনিসুল করিম হত্যা মামলায় এফআইআরভুক্ত পনের জনের মধ্যে মোট বার জনকে এ পর্যন্ত আটক করা গেছে।এর মধ্যে চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।

ডা. মামুন মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটে আসা রোগীদের ঢাকার আদাবরের মাইন্ড এ ইড হাসপাতালে পাঠাতেন বলে অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ। ওই হাসপাতালেই পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিম নিহত হন।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবারই মামুনকে আদালতে উপস্থাপন করা হলে তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। 

গত ৯ নভেম্বর আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে চিকিৎসা করতে গিয়ে মারা যান পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিম। পরে হাসপাতালের ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হলে তাতে দেখা যায় একদল ব্যক্তি মিস্টার করিম ওই হাসপাতালে যাওয়ার পর তাকে একটি রুমে নিয়ে মারধর করছেন। অভিযোগ ওঠে যে এ মারধরের সময় ওই কর্মকর্তার মৃত্যু হয়।

পুলিশ জানায়, ভিডিও ফুটেজে যারা আনিসুল করিমকে টেনে হিঁচড়ে ওই কামরাটিতে নিয়ে যায় তারা কেউই চিকিৎসক ছিলেন না। এদের মধ্যে চার জন ওয়ার্ড বয়, দুজন সমন্বয়কারী, আর কয়েকজন পরিচ্ছন্নকর্মী ছিল। এদেরকেসহ মোট ১১ জনকে গ্রেফতারের কথা পুলিশ গত ১০ নভেম্বর জানিয়েছিলো। যাদের মধ্যে হাসপাতালটির একজন পরিচালক ডা. নিয়াজ মোর্শেদও রয়েছেন।

এদের মধ্যে দশ জনকে আদালতে হাজির করার পর আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন করে রিমাণ্ড মঞ্জুর করেছে। এ ঘটনায় নিহত পুলিশ কর্মকর্তার বাবা ফয়েজ উদ্দিন বাদী হয়ে আদাবর থানায় মামলা করেছিলেন।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //