সর্বাত্মক বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে রাস্তায় লোক চলাচল বেড়েছে

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে এক সপ্তাহের সর্বাত্মক বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন চলছে আজ বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল)।

প্রথম দিনের চেয়ে দ্বিতীয় দিন রাস্তায় তুলনামূলক শিথিলভাব দেখা গেছে ও রাস্তায় লোক চলাচল বেড়েছে। সকালে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেল, পুলিশ চেকপোস্টগুলো প্রথম দিনের চেয়ে দ্বিতীয় দিন কিছুটা নমনীয়।

বিবিসি বাংলা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রথম দিন যেসব চেকপোস্টে পুলিশ বেশ কঠোর মনোভাব দেখিয়ে প্রায় প্রতিটি গাড়ি আটকে যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, আজ সেই চিত্র খুব একটা দেখা যায়নি।

তবে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে সব রাস্তায় চলাচল করা যাচ্ছে না।

এদিকে লকডাউনের প্রথমদিন পহেলা বৈশাখের ছুটি থাকায় সবকিছু বন্ধ ছিল। ফলে মানুষ ঘর থেকে বের হয়েছিল কম। কিন্তু আজ ব্যাংক, শেয়ারবাজার, গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান খোলা। ফলে সকাল থেকে রাস্তায় গাড়ির চলাচলও বেড়েছে কিছুটা।

সকাল ৭টা থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের দলে দলে তাদের কর্মস্থলে যেতে দেখা গেছে।

সরকার ‘কঠোর লকডাউন’ আরোপ করলেও ব্যাংকিং কার্যক্রম ও শিল্পকারখানা বিধিনিষেধের আওতামুক্ত রেখেছে।

গার্মেন্টস ও ব্যাংকে কর্মরতদের যাতায়াতের বিষয়টি কী হবে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) ইফতে খায়রুল ইসলাম বলেন, সরকারের প্রজ্ঞাপনে বলে দেয়া হয়েছে জাতীয় পরিষেবাগুলো বিধিনিষেধের আওতামুক্ত থাকবে। কাজেই এ বিষয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। ব্যাংক খোলার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত পরে হলেও সেটি জাতীয় পরিষেবার মধ্যেই পড়ে।

এ দফায় লকডাউন কার্যকর করতে সরকার ১৩ দফা নির্দেশনা দিয়েছে। এর একটিতে বলা হয়েছে, ‘অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত (ঔষধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনা, চিকিৎসা সেবা, মরদেহ দাফন বা সৎকার ও টিকা কার্ড নিয়ে টিকার জন্য যাওয়া) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।’

এর আগে ৫ থেকে ১১ই এপ্রিল পর্যন্ত বিধিনিষেধ দেয়া হলেও সেটি মোটেও কার্যকর হয়নি।

এবার পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছে , বুধবার থেকে কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে তা বাস্তবায়নে এবার কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে। এজন্য ‘মুভমেন্ট পাস’ ছাড়া কাউকে বাড়ির বাইরে আসতে দেয়া হবে না।

এদিকে গতকাল প্রথম দিনের লকডাউন মোটামুটি ভালোভাবেই বাস্তবায়িত হয়েছে। দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সারাদেশে মানুষের মাঝে লকডাউন মানার প্রবণতা লক্ষ্যে করা গেছে। অবশ্য এদিন পহেলা বৈশাখের সরকারি ছুটি ও প্রথম রোজার দিন হওয়ায় মানুষের বাইরে বের হওয়ার প্রবণতা এমনিতেই কম ছিল। 

যদিও প্রথম দিনের লকডাউনে বিধি-নিষেধ মানতে দিনভর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়াকড়ি থাকলেও সন্ধ্যার পরে কিছুটা ঢিলেঢালা ভাব লক্ষ্য করা গেছে। অনেককে সন্ধ্যার পর পাড়া-মহল্লার চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দেখা যায়।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //