পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের সরকার ঘোষিত তিন দিনের ছুটি শেষ হয়েছে শনিবার (১৫ মে)। আজ রবিবার (১৬ মে) থেকে করোনার চলমান বিধিনিষেধের সময় যেসব প্রতিষ্ঠান খোলার কথা সেগুলোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে ঈদের ছুটি শেষ হয়ে কর্মস্থলের কার্যক্রম শুরু হলেও ঢাকার রাস্তায় এখনো ঈদের ছুটির আমেজ কাটেনি।
রাজধানীর অধিকাংশ রাস্তা ঈদের ছুটির মতোই ফাঁকা রয়েছে। হাতেগোনা কয়েকটি গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত যানবাহন ছাড়া রাজধানীর রাস্তায় তেমন কোনো যানবাহন দেখা যাচ্ছে না। এছাড়া রাস্তায় মানুষের উপস্থিতও কম লক্ষ্য করা গেছে। অন্যদিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার অধিকাংশ দোকান পাট এখনো বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে রাজধানীবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের ছুটি তিন দিন থাকলেও মানুষজন এর সাথে বাড়তি আরো ১-৩ দিনের ছুটি নিয়ে ঈদ উদযাপন করছেন। এছাড়া বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে যারা গ্রামের বাড়ি গিয়েছেন তাদের অধিকাংশ এখনো রাজধানীতে ফেরেননি। ফলে রাস্তায় গাড়ির চাপ ও মানুষের উপস্থিত কম থাকায় এখনো ঈদের ছুটির আমেজ বিরাজ করছে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর, শাহজাদপুর, বাড্ডা, রামপুরা, শান্তিনগর ও খিলগাঁও এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকালে থেকে কর্মস্থলগামী মানুষের কিছুটা উপস্থিত এসব এলাকার রাস্তায় দেখা গেলেও তা ছিলো খুবই কম। অল্প সংখ্যক মানুষ গণপরিবহন বা ব্যক্তিগত বাহনে করে কর্মস্থলে যাচ্ছে। এছাড়া রাস্তায় মানুষজনের উপস্থিত কম থাকায় গণপরিবহনের চলাচল এসব রাস্তায় ছিল নাম মাত্র। হাতেগোনা কয়েকটি পরিবহনের বাস ছাড়া তেমন কোনো গাড়ির চাপ দেখা যায়নি রাস্তায়। তবে ঈদের ছুটির দিনগুলোর তুলনায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশার চলাচল বেড়েছে।
আরো দেখা যায়, সকাল থেকে যানবাহনের সংখ্যা দিনগুলোর তুলনায় বাড়লেও কোথায় কোনো যানজটের দেখা যায়নি। ফাঁকা রাস্তায় ভোগান্তি ছাড়াই চলছে যানগুলো।
রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় যাত্রীর জন্য অপেক্ষমাণ রিকশা চালক মনির জানান, ঈদের ছুটি শেষ হলেও রাস্তায় মানুষ নেই। এখনো মানুষ বাড়ি থেকে আসেনি। ঘণ্টাখানেক বসে থেকেও যাত্রী পাচ্ছেন না তিনি। তবে সকালের দিকে যাত্রী কিছু পাওয়া গেলেও সকাল ১০টার পর থেকে যাত্রী অনেক কমে গেছে। প্রতিবারই এমন হয়, ঈদের ছুটির শেষ হওয়ার আরো ২-৩ দিন পর মানুষ জন ঢাকা আসে।
যাত্রাবাড়ী থেকে উত্তরাগামী রাইদা পরিবহনের একটি বাসের চালক লিয়াকত মোল্লা বলেন, রাস্তায় যাত্রীর চাপ কম বলে আমাগো গাড়িও কম। তাছাড়া আমাগো অনেক স্টাফও ঈদের ছুটিতে আছে। আমরা যারা ঈদের ছুটিতে যাই নাই তারাই গাড়ির নিয়ে বের হয়েছি। আরো কয়েকদিন লাগব সব স্বাভাবিক হইতে।
এছাড়া আরো কয়েকজন যাত্রী ও বাস চালকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় চলমান বিধিনিষেধের কারণেও মানুষের উপস্থিতি রাজধানীতে কম। যারা কষ্টে করে ঈদের আগের রাজধানীতে ছেড়ে গেছেন তারা এখনো পর্যাপ্ত গণপরিবহন না থাকায় ফিরতে পারছে না। ঈদে যারা বাড়ি গিয়েছেন তারা নানাভাবে ভেঙে ভেঙে রাজধানীতে আসার চেষ্টা করছেন। ফলে এসব মানুষ না আসা পর্যন্ত রাজধানীতে ঈদের ছুটির আমেজই থাকবে।
রাজধানীর গাবতলী ও সায়দাবাদে খোঁজ নিয়ে যানা গেছে ঘরমুখো মানুষ জন ঈদ ফিরতি যাত্রায় ঢাকায় ফিরছেন।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh