ঈদের আগে বকেয়া বেতন ও বোনাসের দাবিতে রাজধানীর উত্তরা ও মিরপুরে সড়ক অবরোধ করেছেন পোশাকশ্রমিকরা। এতে ওই এলাকাগুলোতে সৃষ্ট যানজটে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ জনগণ, নড়ছে না যানবাহন।
আজ সোমবার (২৫ এপ্রিল) সকাল থেকেই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উত্তরার জসীমউদ্দিন-আজমপুর সড়কে দুইটি কারখানার শ্রমিক ও মিরপুরে সড়কে অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছেন একটি কারখানার শ্রমিকরা।
মিরপুরের কটন টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলস লিমিটেড নামের পোশাক কারখানার শ্রমিকরা জানান, গত তিন মাস ধরে শ্রমিকরা বেতন পান না। আসন্ন ঈদের আগে ২০ এপ্রিলেই বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধের কথা থাকলেও তা দেয়া হয়নি। বরং ১৭ এপ্রিল গার্মেন্টসে বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ কেটে দেওয়া হয়। এরপর থেকে মালিকও উধাও।
তারা জানান, কারখানা মালিক উধাও হয়ে যাওয়ায় শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। পুলিশ বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিলেও সেটি কার্যকর হয়নি। এখন তারা আর কোন আশ্বাস শুনবেন না। একমাত্র বকেয়া পরিশোধ হলেই রাজপথ ছাড়া হবে।
অপরদিকে ইন্ট্রাকো ডিজাইন লিমিটেড এবং ইন্ট্রাকো ফ্যাশন লিমিটেড নামে দুইটি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা জানান, একই ব্যক্তির মালিকানাধীন দুটি কারখানার শ্রমিকদের কারো ২ মাসের বেতন বকেয়া, কারো ৩ মাসের বেতন, ওভারটাইম ও বোনাস পাওনা রয়েছে। এই পাওনা পরিশোধ না করা হলে তারা সড়ক ছাড়বেন না।
শ্রমিকরা বলেন, তাদের গার্মেন্টস দুইটি একই মালিকের। তাদের কারো ২ মাসের বেতন বকেয়া, কারো ৩ মাসের বেতন, ওভারটাইম ও বোনাস পাওনা। দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত সড়ক না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে তারা।
মিরপুর মডেল থানার এসআই হামিদুর রহমান বলেন, আমরা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি সড়কের যানজট কমাতে যানবাহনগুলোকে বিকল্প রুটে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
পল্লবী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার বলেন, কটন টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলস লিমিটেড নামে ওই কারখানার মালিক উধাও থাকায় এই অবস্থা হয়েছে। তবে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধে আমরা চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার শ্রমিকদেরকে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস দেয়ার কথা বলা হলেও তারা সেটি মেনে নেয়নি। বিকেলে শ্রমিকদের মধ্য থেকে পাঁচজন প্রতিনিধি নিয়ে বিজিএমইএতে গিয়ে তাদের বকেয়া পরিশোধের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh