বায়ুদূষণ রোধে দায়িত্বশীলদের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ

দুই সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন বায়ুদূষণের দিক দিয়ে শীর্ষে পর্যায় থেকে নামছেই না রাজধানী ঢাকা। উদ্ভূত এই পরিস্থিতিতে রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় বায়ুদূষণের মাত্রা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। তবে এই দূষণ নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে উদ্যোগের অভাব রয়েছে।

বেসরকারি সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি) এমনটাই মনে করছে।

আজ শনিবার (২৮ জানুয়ারি) আইপিডির উদ্যোগে আয়োজিত ‘রাজধানীর বিপর্যস্ত বায়ু: নগরায়নের বিদ্যমান প্রেক্ষিত ও করণীয়’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে আইপিডির পক্ষ থেকে এই অভিমত তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, তারা মনে করেন- উন্নয়নকাজে পরিবেশ সমুন্নত রেখেই উন্নয়নের কৌশল ঠিক করা প্রয়োজন। নগর এলাকাসহ সারা দেশে অবকাঠামো নির্মাণসহ যাবতীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে যথাযথভাবে বায়ু দূষণ রোধে প্রয়োজনীয় তদারকি ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে আরো বলা হয়, নীরব ঘাতক বায়ু দূষণের মতো অপরাধকে জনস্বাস্থ্যগত অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে পরিবেশ আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে যথাযথ শাস্তির বিধান প্রণয়ন করা দরকার। পাশাপাশি দূষণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।

মূল প্রবন্ধে আইপিডির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, নিয়ন্ত্রণহীন ধুলা, ফিটনেসবিহীন গাড়ির অবাধ চলাচল, ইটভাটার ধোঁয়া, নিয়ন্ত্রণহীন খোঁড়াখুঁড়ি, শিল্পকারখানার ধোঁয়াসহ প্রভৃতি কারণে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় বায়ু দূষণ ক্রমাগত বেড়েই চলছে। শুষ্ক মৌসুমে দূষণের প্রভাব থাকে সবচেয়ে বেশি।

আইপিডির উপদেষ্টা অধ্যাপক আকতার মাহমুদ বলেন, ঢাকার চেয়েও নারায়ণগঞ্জ এলাকার বায়ুমান বিপদজনক মাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে। কার্যকর ক্লিন এয়ার আইন করতে আমরা কেন ব্যর্থ হলাম, কারা এই আইন করতে দেয়নি- এ বিষয়গুলোর জবাব নীতিনির্ধারকদের দিতে হবে। বায়ু দূষণ রোধে কার্যকর প্রকল্প, নির্মাণ ও নগর ব্যবস্থাপনার উপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //