সুলতানস ডাইনে দেড় ঘণ্টার অভিযান, যা পাওয়া গেল

কাচ্চিতে খাসির বদলে অন্য প্রাণীর মাংস দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সুলতানস ডাইন নামের একটি রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর রেস্তোরাঁটিতে অভিযান চালিয়েছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও পরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পৃথক দুটি দল।

আজ বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে গুলশান-২ এর সামসুদ্দিন ম্যানশনের সুলতানস ডাইনের এ শাখায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী অভিযান চালানো হয়। এ সময় পরিচ্ছন্নতাসহ বেশকিছু কারণে রেস্তোরাঁটিকে দশদিনের আল্টিমেটাম দেয় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

একইসঙ্গে সুলতানস ডাইনকে আগামী সোমবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে তথ্য ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে হাজির হতে বলেছেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল।

জানা যায়, গত বুধবার দুপুরের পর থেকে ফেসবুকে সুলতান’স ডাইনের কাচ্চি বিরিয়ানির মাংস নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়। অভিযোগ তোলেন কানক রহমান খান নামের এক ভোক্তা। এর পরপরই আজ দুপুরে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পরিসংখ্যান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক (উপ-সচিব) মো. কাউছারুল ইসলাম সিকদার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের একটি দল অভিযানে অংশ নেয়। 

অভিযানে শেষে মো. কাউছারুল ইসলাম সিকদার বলেন, অভিযানে অপরিচ্ছন্নতার বিষয়টি নজরে এসেছে। বিশেষ করে কিচেনের কিছু অংশ বেশ অপরিচ্ছন্ন মনে হয়েছে। পরিষ্কারের জন্য তাদের আগামী ২০ তারিখ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। পরে আবারও পরিদর্শনে এসে পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে কি না তা দেখা হবে। 

তিনি আরও বলেন, সুলতানস ডাইন অত্যন্ত পরিচিত একটি রেস্তোরাঁ। খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠা মানে অন্য বিষয়েও সমস্যা থাকতে পারে বা হচ্ছে। 

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান ও ফারহানা ইসলাম অজন্তা। 

আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, আমরা সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যম ফেসবুক থেকে বিষয়টা জানতে পেরেছি। রেস্তোরাঁর কাচ্চিতে দেওয়া মাংস কোথা থেকে আনা হচ্ছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। কিন্তু রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেনি। এজন্য তাদের আগামী সোমবার অধিদপ্তরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে। কোনো অনিয়ম পেলে রেস্তোরাঁটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে সুলতানস ডাইনের সহকারী ব্যবস্থাপক আশরাফ আলম বলেন, ভোক্তা অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের লোকজন এসেছিলেন। এখানে অসঙ্গতি তেমন কিছু পায়নি। তারা আমাদের কাছে কিছু তথ্য চেয়েছেন আমরা তা দিয়েছি। 

এছাড়া ভোক্তা অধিদপ্তর আগামী সোমবার আমাদের কিছু কাগজপত্র নিয়ে যেতে বলেছে বলে তিনি জানান।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //