উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির নামে নদী খুনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান

এ বছর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত সাংবাদিক ও লেখক আমীন আল রশীদের ‘উন্নয়নপাঠ: নদী ও প্রাণ’ বইয়ের ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিভার এন্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টার (আরডিআরসি) কর্তৃক এ সভার আয়োজন করা হয়।

উক্ত আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাসউদ ইমরান মান্নু, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, নদী গবেষক মোহাম্মদ এজাজ, নৌযোগাযোগ বিশেষজ্ঞ আমিনুর রসুল বাবুল, যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ খান মো. রবিউল আলম, নদী অধিকার মঞ্চের সদস্য সচিব শমশের আলী, লেখক আলমগীর খান, সৈকত হাবিব, রিভার বাংলার সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ প্রমুখ।

এ সভায় উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির নামে নদী ও প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের কঠোর সমালোচনা করেছেন লেখক, গবেষক ও অ্যাক্টিভিস্টরা। 

তারা বলেন, উন্নয়ন ও নদীকে মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে নদীমাতৃক বাংলাদেশ থেকে নদী গায়েব করে দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এই ভয়াবহ প্রবণতা ঠেকাতে রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারক, রাজনীতিবিদ, গণমাধ্যমকর্মী, অ্যাকাডেমিশিয়ান ও অ্যাক্টিভিস্টদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তারা।

এদিন রাজধানীর কাছে টঙ্গি খালের উপর রেল সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে খালের দুই পাড় ভরাটের সমালোচনা করে এ ধরনের প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের দেশপ্রেম ও দায়বদ্ধতা নিয়েও বক্তারা প্রশ্ন তোলেন। শহর ও শিল্পাঞ্চলের নদীগুলো সবচেয়ে বেশি বিপন্ন উল্লেখ করে একে ‘আত্মঘাতি উন্নয়নচিন্তা’ বলে মন্তব্য করেন তারা। 

তারা মনে করেন, টঙ্গি খালের প্রাণ-প্রবাহ ঠিক রেখেই সেতুটি নির্মাণ করা যেতো। পিলারগুলো নদীর সীমানার বাইরে দেয়া যেতো। কিন্তু সেটি না করে খরচ কমানোর জন্য সেতুর পিলার দেয়া হয়েছে খালের ভেতরে। এমনকি সরু এই খালকে ভরাট করে আরও সরু করে ড্রেনে পরিণত করা হচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে যাদের ভুল নকশা ও পরিকল্পনার কারণে দেশের নদী, খাল, জলাশয় ভরাট হয়েছে; নাব্যতা হারিয়েছে, তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত বলেও বক্তারা উল্লেখ করেন।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

Ad

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2023 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //