কোটা আন্দোলন

স্মারকলিপি নিয়ে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনে

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে সংসদে আইন পাসের এক দফা দাবি আদায়ে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি নিয়ে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়েছেন। আজ বরিবার (১৪ জুলাই) দুপুর দেড়টায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

প্রতিনিধি দলে ঢাবি, জাবি, জবি, সাত কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়করা উপস্থিত রয়েছেন। ততক্ষণ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে অবস্থান করবেন বলে জানান নেতৃবৃন্দ।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের দাবির জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছি। গতকালের ঘোষণা অনুযায়ী আমরা আজ রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের দিকে এসেছি। আমাদের ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি নিয়ে যাবেন। সব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা সেই দলে থাকবেন। আমাদের দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ফিরে যাবেন না।

এর আগে দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এ পদযাত্রা শুরু হয়। একইসঙ্গে আন্দোলনে থাকা ঢাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও এই গণপদযাত্রায় অংশ নিয়েছেন।

আন্দোলনের সমন্বয়কদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাজধানীর শিক্ষার্থীরা বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করবেন। রাজধানীর বাইরে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেবেন। সারা দেশে প্রায় ৫০টি জেলা থেকে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ সংখ্যাটি আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সমন্বয়করা।

এর আগে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গণভবন অভিমুখে গণপদযাত্রার ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। তাছাড়া অন্যান্য জেলা থেকে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

এদিকে গত শুক্রবার (১২ জুলাই) সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করার চেষ্টা ও সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগে কোটা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা দায়ের করে পুলিশ।  বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ বেসরকারি এক টেলিভিশনে এক পুলিশ কর্মকতার ওই দিনের দেওয়া রেকর্ড শুনিয়ে বলেন, ছাত্ররা সাঁজোয়া যানের কোন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি করেনি। মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগের দিয়ে মামলা করে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।

মামলা প্রসঙ্গে প্রধান সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক মামলার বিষয়ে পুলিশের জবাবদিহি চাই। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা এ মামলা প্রত্যাহার চাই।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //