রাজধানীর গুলশানে জোড়া খুনের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। চায়ের দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতে গিয়ে অল্প বেতন এবং কাজ-কর্ম নিয়ে মালিকের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরেই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।
আজ বুধবার (২ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম রুমন। তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক জানান, রাজধানীর গুলশান-২ এর ১০৮ নম্বর বাড়ির কেয়ারটেকার ছিলেন খুন হওয়া রফিকুল ইসলাম। সেই প্লটের পাশেই তার চায়ের দোকান ছিল। আর খুনের শিকার আরেকজন সাব্বির ছিলেন তার দোকানের কর্মচারী। তারা দুজনই এক মেসে থাকতেন। সাব্বির এক পর্যায়ে রফিকুলকে চাকরি ছাড়ার কথা জানান। এরপর কিশোরগঞ্জের কটিয়াদির রুমনকে (২৭) কাজে রাখেন রফিকুল।
মুনীম জানান, চাকরিরত অবস্থায়ই রুমনের সঙ্গে রফিকের মনোমালিন্য শুরু হয়। এরপর কয়েক দফা বাকবিতণ্ডাও হয়। এরই জের ধরে রফিককে তার বাসস্থানে খুন করে রুমন। আর এ ঘটনা দেখে ফেললে খুন হন সাব্বিরও।
র্যাব জানায়, দোকান মালিক রফিকের কাছে এক পক্ষের লেনদেন নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। ওই পক্ষটি রুমনকে টাকার লোভ দেখিয়ে হত্যায় জড়িত করে। রুমনসহ এ হত্যায় আরো দুজন জড়িত ছিল। তাদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে, আরেকজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর গুলশান-২ নম্বরে অবস্থিত একটি চায়ের দোকানের ভেতর থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে গুলশান থানা পুলিশ।
নিহত দুজন হলেন মো. রফিক (৬২) ও মো. সাব্বির (১৬)।
নিহত দুজনের মধ্যে মো. রফিকের বাড়ি বরিশাল সদরে দবদবিয়া গ্রামে এবং সাব্বিরের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার রায়গঞ্জ বাজার বেপারী পাড়ায়।
এ ঘটনায় নিহত রফিকের ছেলে বাপ্পী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh