খুলনা ও ঢাকা বিভাগের মধ্যে জাতীয় লিগের ম্যাচ চলাকালীন সতীর্থ আরাফাত সানিকে (জুনিয়র) পিটিয়েছেন পেসার শাহাদাত হোসেন। ম্যাচ রেফারি প্রতিবেদনে শাহাদাতের অপরাধকে ‘লেভেল-৪’ বলছেন। যে অপরাধের শাস্তি সর্বনিম্ন এক বছর থেকে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা।
রবিবার খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ফিল্ডিংয়ের সময় সানিকে বল শাইন করে দিতে বলেন শাহাদাত। সানি অনীহা প্রকাশ করলে শাহাদাত তাকে চর-থাপ্পড় ও লাথি মরেন। ওই সময় সতীর্থরা এসে সানিকে রক্ষা করেন। এই ঘটনার পরপরই শাহাদাতকে মাঠ থেকে বের করে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির এক কর্মকর্তা জানান, খুলনা থেকে শাহাদাতকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিসিবির কোড অব কন্ডাক্টের ৪ মাত্রা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ধারায় যে কেউ সব ধরনের ক্রিকেট থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ থাকে। একই সঙ্গে জরিমানা ৫০ হাজার টাকা। এখন রিপোর্ট বিসিবির টেকনিক্যাল কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। তারাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। তবে চলমান এনসিএলে সে খেলতে পারছে না।
এর আগে নিজ বাসার শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতনের দায়ে জেলে যেতে হয়েছিল শাহাদাতকে। একই মামলায় জেলে ছিলেন তার স্ত্রীও। জামিনে জেল থেকে মুক্তির পর নিজের ভুল স্বীকার করে দেশ ও জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন শাহাদাত।
ওই সময় তাকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছিল বিসিবি। পরে তার আবেদনের প্রেক্ষিতে জীবিকার কথা ভেবে আবার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ক্রিকেটে ফেরার।
বাংলাদেশের হয়ে ৩৮ টেস্ট, ৫১ ওয়ানডে ও ৬টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন শাহাদাত। সবশেষ জাতীয় দলে খেলেছেন ২০১৫ সালের মে মাসে।