অনেকটাই লড়াই করেই রাজশাহী রয়্যালসের কাছে ১৫ রানে হেরেছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। এদিকে দীর্ঘ ৪ বছর পর বিপিএলে ফিফটির স্বাদ পাওয়া সৌম্যের ক্যারিয়ার সেরা ঝড়ো ইনিংসও রুখতে পারেনি কুমিল্লার হার।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) আফিফ-মালিকের ব্যাটিং ঝড়ে ৪ উইকেট হারিয়ে কুমিল্লার সামনে ১৯১ রানের বড় লক্ষ্য দাঁড় করায় রাজশাহী। জবাবে মাত্র ৪ উইকেট হারালেও এবং সৌম্যের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস সত্ত্বেও ১৭৫ রানে থেমে যায় কুমিল্লার ইনিংস। ফলে ১৫ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রাসেলের দল।
এদিন রাজশাহীর দেয়া ১৯১ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য টপকাতে নেমে শুরুটা যেমন হওয়া দরকার ছিল, তেমনটা হয়নি কুমিল্লার। দলীয় ২৬ আর ২৯ রানের মাথায় তারা হারিয়ে বসে রবিউল ইসলাম রবি ও অধিনায়ক ডেভিড মালানের উইকেটে। যেখানে রবির ব্যাট থেকে ১২ রান ও মালানের ব্যাট থেকে আসে ৩ রান।
এরপর স্ট্যিয়ান ভ্যান জিলকে নিয়ে কুমিল্লা দলের হাল ধরেন সৌম্য সরকার। ওপেনিং থেকে চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে নিজেকে মেলে ধরেন সৌম্য। তবে অপর প্রান্তে তাকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি ভ্যান জিল। ব্যক্তিগত ১৯ রানের মাথায় মালিকের বলে একবার জীবন পেলেও এক বল পরেই ২১ রান করে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফেরেন এই প্রোটিয়া।
এরপর সাব্বির রহমানকে নিয়ে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দেন সৌম্য। তুল নেন চলতি বিপিএলে নিজের প্রথম ফিফটি। দীর্ঘ চার বছর বাদে বিপিএলে অর্ধশতকের দেখা পেলেন বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান।
সৌম্যের ফেরার দিনেও ব্যর্থ সাব্বির রহমান। ২৩ বলে ২৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই হার্ডহিটার। পরে ডেভিড ওয়াইসি ও সৌম্য মিলে শেষ চেষ্টা চালালেও ১৫ রানের পরাজয় দেখতে হয় কুমিল্লাকে।
যেখানে মাত্র ৪৮ বলে ৮৮ রানে অপরাজিত থাকেন সৌম্য সরকার। তার এই ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে ছিল ছয়টি বিশাল ছক্কা আর পাঁচটি চারের মার। অন্যদিকে ওয়াইসি অপরাজিত থাকেন মাত্র ৬ বলে একটি করে চার-ছক্কায় ১৬ রান করে।
এর আগে টসে হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে রাজশাহী। দলের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান লিটন দাস ও আফিফ। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৫৬ রানের সংগ্রহ দাঁড় করেন দু'জন।
১৯ বলে ২৪ রান করে লিটন সানজামুলের বলে আউট হলে ভাঙে তাদের পার্টনারশিপ। এরপর দলীয় দশম ওভারে রাজশাহী শিবিরে আঘাত হানেন সৌম্য সরকার। আফিফকে ফেরান ৪৩ রানের মাথায়। ৩০ বলের ইনিংসটি আফিফ সাজিয়েছেন ৬টা চার ও ১টা ছয়ের মারে।
খানিক বাদে রবি বোপারাও ১০ রান করে আউট হলে ১০৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে পদ্মা পাড়ের দলটি। সেখান থেকে নতুন ব্যাটসম্যান আন্দ্রে রাসেলকে নিয়ে দলীয় স্কোর বড় করার কাজটা ভালোভাবেই চালিন শোয়েব মালিক।
তুল নেন চলতি বিপিএলে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি। কম যাননি রাসেলও, ৪ ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২১ বলে ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। শেষদিকে শোয়েব মালিকের ৩৮ বলে ৬১ রানের সুবাদে নির্ধারিত ওভার শেষে ১৯০ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করে রাজশাহী রয়্যালস। ম্যাচ সেরা হন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh