দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান বিদায় নেয়ার পর হাল ধরেছিলেন মুমিনুল হক। তবে তার ইনিংস ও আগাতে পারেনি বেশি। বাংলাদেশ অধিনায়কের লড়াই শেষ হয় ৭০ রানে। ১৩৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া টাইগাররা মাহামুদউল্লাহ ও লিটন দাসের ব্যাটে ঘুরে দাড়িয়েছে।
দ্বিতীয় সেশন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫৮ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০৭ রান। ৬৮ বলে ২৪ রান করে মাহামুদউল্লাহ ও ৯২ বলে ৫৮ রানে অপরাজিত আছেন লিটন দাস।
প্রথম সেশনে ব্লেসিং মুজারাবানি মাত্র ৫ ওভার করে আর বোলিং না করায় স্বস্তি পেয়েছিল বাংলাদেশ। লাঞ্চের পর তিনিই আবার ছোবল দেন প্রথম। তার ভেতরে ঢোকা ডেলিভারি ছেড়ে দিয়ে এলবিডব্লিউ হন মুশফিকুর রহিম (১১)।
যদিও বল স্টাম্পের ওপর দিয়ে চলে যাচ্ছিল বলে মনে হয়েছে টিভি রিপ্লে দেখে। তবে বল না বুঝে ছেড়ে দেওয়ার দায়ও তাকে নিতে হবে। এই টেস্টে নেই রিভিউ।
সেই ধাক্কা সামাল দেয়ার আগেই আরেকটি বড় ধাক্কা। এই ম্যাচ দিয়েই টেস্টে ফেরা সাকিব টিকতেই পারলেন না। ভিক্টর নিয়াউচির অনেক বাইরের বল দৃষ্টিকটুভাবে তাড়া করে ২ রানে তিনি ক্যাচ দিলেন উইকেটের পেছনে।
মুজারাবানির ওভারে দুই বাউন্ডারিতে মুমিনুল ফিফটি স্পর্শ করেন ৬৪ বলে। আউট হতে পারতেন এরপরই। ওই ওভারেই সহজ ক্যাচ তুলে দেন তিনি মিড অনে। কিন্তু ফিল্ডার রিচার্ড এনগারাভা বুঝেই উঠতে পারেননি। তাই নিতে পারেননি ক্যাচ।
একটু পর মুজারাবানি নিজের বলেই ছাড়েন মুমিনুলের ক্যাচ। ৫২ ও ৬০ রানে বেঁচে গিয়ে মুমিনুল শেষ পর্যন্ত থামেন ৭০ রানে। নিয়াউচির বাইরের বল কাট করে ক্যাচ দেন তিনি পয়েন্টে। বাংলাদেশের বিপদ তাতে ঘনীভূত হয় আরও।
মুমিনুল হক আউট হওয়ার পর ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করে চলেছেন লিটন দাস ও মাহামুদউল্লাহ রিয়াদ।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজ ক্রিকেট
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh