সিডন্সের মতে ‘হাফ কাজ ডান’

বাংলাদেশ দলে প্রতিভাবান ক্রিকেটার দেখে উচ্ছ্বসিত নতুন ব্যাটিং পরামর্শক জেমি সিডন্স। তার মতে- দলে অনেক  প্রতিভাবান ক্রিকেটার থাকায় নিজের কাজ অর্ধেক হয়ে যায়। 

বাংলাদেশের সাবেক কোচ সিডন্স বলেন, শুধুমাত্র  খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস এবং বিদেশি কন্ডিশনে উন্নতি করার কৌশল জানা দরকার।

বাংলাদেশের ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে আসার পর শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) প্রথম সাংবাদিকদের সামনে আসেন সিডন্স।  তিনি বলেন, দলে চার/পাঁচজন ছয় ফুট লম্বা ফাস্ট বোলার রয়েছে, যারা ঘন্টায় ১৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বোলিং করতে পারে। সত্যিই  এটা আমাকে উৎফুল্ল করেছে। তাছাড়া রয়েছে বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। যে কিনা খেলা প্রতিটি ম্যাচে ব্যাট অথবা বল হাতে অবদান রাখছেই।’

জেমি সিডন্স বিশেষ করে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ দু’টি ম্যাচে জয়ের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা মেহেদি হাসান মিরাজ, আফিফ হোসেন এবং লিটন দাসের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। প্রথম ওয়ানডেতে জয়ের জন্য ২১৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশ একপর্যায়ে ৪৫ রানেই ষষ্ঠ উইকেট হারায়। এরপর  মিরাজ ও আফিফ সপ্তম উইকেটে রেকর্ড ১৭৪ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে নিশ্চিত হার থেকে বাঁচিয়ে ৪ উইকেটের জয় এনে দেয়। 

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে ১৩৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন লিটন। এতে ৮৮ রানের জয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে টাইগাররা। 

সিডন্স বলেন, ‘আমি ইতোমধ্যে দু’টি ম্যাচে কিছু তরুণ প্রতিভা দেখেছি। মিরাজ, আফিফ এবং লিটন, তারা মানসম্পন্ন, ক্লাসিক এবং শান্ত প্রকৃতির ক্রিকেটার। যারা আরও ভাল করবে। তারা যত বেশি খেলবে, তত বেশি বড়  ম্যাচে পারফর্ম করবে। এসব আমাদের ছেলেদের জন্য চাপের খেলা। এই খেলাগুলো তাদের জিততেই হবে। তরুণ খেলোয়াড়রা উঠে আসছে, যা দেখতে দারুণ। আমাদের পরিচিত সিনিয়র খেলোয়াড়রাও একপর্যায়ে জ্বলে উঠবে; কিন্তু তাদের সহায়তা করার জন্য তরুণ খেলোয়াড়দেও প্রয়োজন। এটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’

আগামী দিনে বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জিং বিষয়গুলো জানিয়ে সিডন্স বলেন, ‘আমার কাজ অর্ধেক হয়ে গেছে কারণ বিশ্বমানের কিছু খেলোয়াড় এখানে আছে। আমরা যখন দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতের বিপক্ষে খেলতে যাই, তাদেরও এমনটা থাকে। তাদের কাছেও তিনজন মানসম্পন্ন স্পিনার আছে, তাই সহজে রান তোলার কোন অবকাশ নেই। সেখানেই আমাদের চ্যালেঞ্জ। সেখানেই আমাদের উন্নতি করতে হবে এবং এমন পরিস্থিতিতে প্রস্তুত থাকতে হবে। সেই জায়গায় পৌঁছাতে আমাদের অনেক দূর যেতে হবে; কিন্তু আমরা সত্যিই ভালো ক্রিকেট দল। আমাদের এটি চালিয়ে যেতে হবে। তরুণ খেলোয়াড়দের শুধু সেই বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে, যাতে তারা সব সময় বিদেশে পারফর্ম করতে পারে।’

সিডন্সের মতে, সিনিয়র ক্রিকেটাররা নিজেদের ভূমিকা জানে  এবং নিয়মিতভাবে পারফর্ম করে। এখন এটি জুনিয়র খেলোয়াড়দের উপর নির্ভর করে। বাংলাদেশ যা চায় তা পূরণ করার সামর্থ্য আছে বলেই বিশ্বাস সিডন্সের।

সিডন্স বলেন, ‘প্রতিভা দেখে ইতোমধ্যেই আমার উপর থেকে চাপ প্রায় সরে গেছে বলেই আমি মনে করি। তারা এমনিতেই বড় ম্যাচে পারফর্ম করতে পারে। লিটনের মতো ক্রিকেটার  টেস্ট ম্যাচে তা করেছে। আমি তাকে ছোট বিষয়ে সাহায্য করতে পারি। পেসার বা দুর্দান্ত স্পিনারই হোক না কেন, প্রতিটি বোলারের বিপক্ষে সফল হতে, তার সাথে ক্লাস করাতে কিছুটা সময় লাগবে। তাকে আরো ভালো করাতে পারাটা আমার চ্যালেঞ্জ। তামিম ও সিনিয়ররা দারুণ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এখন আমরা চাই, তরুণরা আরও এগিয়ে আসুক, দায়িত্ব নিতে শিখুক।’


সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //