১৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে অলআউট বাংলাদেশ

মাত্র ১৩ রানের ব্যবধানে শেষ ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে সাকিব-লিটনের প্রতিরোধে ম্যাচ বাঁচার সম্ভাবনা জাগলেও লাঞ্চ বিরতির পরই ধস নামে টাইগার শিবিরে। একের পর উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮ রানের লিড পেয়েছে বাংলাদেশ। জয়ের জন্য শ্রীলঙ্কাকে করতে হবে ২৯ রান।

ইনিংস হারের শঙ্কা নিয়ে ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ দল। দিন শেষে স্বাগতিকদের লক্ষ্য ছিল, আজ শুক্রবার পঞ্চম ও শেষদিনের প্রথম সেশনে কোনো উইকেট না হারানো। সাকিব আল হাসান নিজে বলেন, অন্তত ৩ ঘণ্টা ব্যাটিং করতে চান দলকে বাঁচাতে। সে পরিকল্পনায় শতভাগ না হলেও লেটার মার্ক দিতে হবে বাংলাদেশ দলকে। প্রথম সেশনে মাত্র ১টি উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে উল্টো লিড নিয়েছে টাইগাররা।

৪ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে মাত্র ৩৪ রান। ইনিংস হার থেকে বাঁচতে আজ করতে হবে ১০৭ রান। মিরপুরের উইকেটে পঞ্চম দিন বিবেচনায় কাজটি সহজ নয় মোটেও। বাংলাদেশ দল শেষপর্যন্ত হার এড়াতে পারবে কিনা সেই প্রশ্ন সময়ের হাতে তুলে রাখলে প্রথম সেশনটা মুমিনুল হকের দলের। অন্তত ইনিংস হারের শঙ্কা যে উবে গেছে। প্রথম সেশন শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান করেছে স্বাগতিকরা। লঙ্কানদের লিড দিয়েছে ৮ রানের।

অবিচ্ছেদ্য ১১ রানের পার্টনারশিপে মুশফিকর রহিম ১৪ এবং লিটন কুমার দাস ১ রান নিয়ে আজ শেষ দিনে ব্যাটিং শুরু করেন। নির্ধারিত সময়ের আধাঘণ্টা আগে শুরু হয় খেলা। তবে সেই আধাঘণ্টা পার না হলেই ফিরে যান প্রথম ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোরার মুশফিক। আগের ইনিংসে দলকে বাঁচাতে ১৭৫ রানে অপরাজিত থাকা এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ২৩ রানে আউট হন। আগের সঙ্গে আজ মাত্র ৯ রান যোগ করে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি।

ইনিংসের ২১ এবং দিনের অষ্টম ওভারে লঙ্কান পেসার কাসুন রাজিথার অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করা লেংথ ডেলিভারি খানিক ভেতরে ঢোকে। একটু নিচু হয়ে স্কিড করে যায় বল। মুশফিক মিস করেন বলের লাইন, পেছনের পায়ে ডিফেন্স করতে গিয়ে একটু দেরিও করে ফেলেন তিনি। তাতেই ভূপাতিত স্টাম্প। এদিন যদিও মুশফিকের আগে ফিরতে পারতেন লিটন। তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচেছেন ব্যক্তিগত ৯ রানে।

মুশফিকের আউটের পর লিটনকে নিয়ে প্রথম সেশনের বাকি দুই ঘণ্টার গল্পটা নিজেদের নামে লিখেছেন অন্তত ৩ ঘণ্টা ব্যাট করতে চাওয়া সাকিব। তাতে ইনিংস হারের হাত থেকে দলকে বাঁচাতে পেরেছেন তিনি। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে লিটন একপ্রান্ত ধরে খেলেছেন, অন্য প্রান্তে আগ্রাসী ভূমিকায় সাকিব। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট চালিয়ে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলেছেন তিনি, লাঞ্চের আগে ফিফটি তুলে নিয়েছেন তিনি।

তবে ব্যাটিংয়ের জন্য মোটেও সহায়ক আচরণ করছে না শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট। পঞ্চম দিনে এসে শার্প টার্নের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে অসমতল বাউন্স। সেগুলো দারুণ দক্ষতায় সামাল দিচ্ছেন স্বাগতিক দুই ব্যাটসম্যান। একটি উইকেটের খোঁজে মরিয়ে লঙ্কান বোলারদের সুযোগ দিচ্ছেন না সাকিব-লিটন জুটি।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //