মিরপুর শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে টানটান উত্তেজনাকর ম্যাচে ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে ইমরুল কায়েসের দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। প্রথম তিন ম্যাচ হারের পর টানা আট জয় তুলে নিলো দলটি।
স্কোরবোর্ডে সংগ্রহ বড় করতে পারেনি সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল। মুকিদুল মুগ্ধর পেস বোলিংয়ে পাঁচ বল থাকতে ১২১ রানে অলআউট হয় দলটি।
আগের ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ১১৮ রান করেও ঢাকা ডমিনেটর্সের বিপক্ষে ১৫ রানের জয় পেয়েছে। বরিশালও তেমন আশাই দেখাচ্ছিল। ১৫ ওভার পর্যন্ত ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলেন সাকিবরা। কিন্তু বিপিএলে এসেই দুই চার ও তিন ছক্কায় নয় বল থাকতে কুমিল্লাকে ৫ উইকেটের জয় এনে দিয়েছেন আন্দ্রে রাসেল।
এই জয়ে সমান ১১ ম্যাচ খেলে আট জয় নিয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স পয়েন্ট টেবিলে দুই নম্বরে উঠেছে। অন্যদিকে সাত জয় নিয়ে ফরচুন বরিশাল তিনে নেমে গেছে। দুই দলের সামনেই একটি করে ম্যাচ বাকি আছে। রংপুর রাইডার্সও সাত ম্যাচে জয় পেয়েছে। সেরা দুইয়ে থেকে কোয়ালিফায়ারে যাওয়ার লড়াই তাই এখনও জমে আছে।
আজ মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) টস জিতে বোলিং নিয়েছিল কুমিল্লা। ব্যাট হাতে ভালো শুরু পায়নি বরিশাল। ওপেনার এনামুল (৩) ও ফজলে রাব্বি (৮) ব্যর্থ হন। মিডল অর্ডারে সাকিব (৬) ও ইফতেখার রান পাননি (৪)। তিনে নামা মাহমুদুল্লাহ ২৬ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৩৬, মেহেদি মিরাজ ১৭ ও করিম জানাত ২৬ বলে ৩২ রান করলে চ্যালেঞ্জ জানানোর ভরসা পায় বরিশাল।
জবাব দিতে নেমে বিপদে পড়ে কুমিল্লাও। ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান (১১) ও তিনে নামা জাকের আলী (১০) ব্যর্থ হন। রান পাননি চারে নামা ইমরুল (৫) ও পাঁচে নামা মোসাদ্দেক (১)। তবে ওপেনার লিটন ভরসা দিচ্ছিলেন। তিনি ৩৯ বলে পাঁচ চারে ৩৬ রান করেন। এরপর খুশদীল শাহ ও আন্দ্রে রাসেল ক্রিজে আসেন। ১৫ ওভার শেষে কুমিল্লার রান ছিল ৫ উইকেটে ৭৫।
শেষ পাঁচ ওভারে জিততে ৪৭ রান দরকার ছিল কুমিল্লার। ১৬তম ওভারে রাসেলের একটি ও খুশদিলের দুই চারে ১৩ রান তোলে কুমিল্লা। ১৭তম ওভারে ১১ রান নেয় দলটি। রাসেল একটি চার মারেন। খুশদীল মারেন ছক্কা। ১৮তম ওভারে সাকিবকে দুই ছক্কা মারেন ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার। খুশদিল মারেন চার। ওই ওভার থেকে ১৭ রান নিয়ে জয়ের প্রান্তে যায় কুমিল্লা। ১৯তম ওভারেও রাসেলের হাতে ছক্কা খান মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র। রাসেল ১৬ বলে করেন ৩০। খুলদীল ১৯ বলে করেন ২৩ রান।
এর আগে বল হাতে কুমিল্লার মুকিদুল মুগ্ধ ৩.১ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন। মাহমুদুল্লাহ-সাকিব-জানাতদের আউট করেন তিনি। বরিশালের হয়ে এবাদত ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়েছেন। সাকিব প্রথম তিন ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে নিয়েছিলেন এক উইকেট। মোহাম্মদ ওয়াসিম দিয়েছেন৩.৩ ওভারে ৩৭ রান।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh