শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে কুমিল্লাকে হারাল রংপুর

সিলেট পর্বে আজ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) হাইভোল্টেজ ম্যাচে লিটনের কুমিল্লার মুখোমুখি হয় সাকিবের রংপুর।  টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে কুমিল্লার বোলিং তোপে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানে থামে রংপুরের ইনিংস। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রংপুরের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রানে থামে কুমিল্লা। এতে ৮ রানের জয় পায় নুরুল হাসান সোহানের দল।

১৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরতেই উইকেট হারায় কুমিল্লা। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান ওপেনার লিটন দাস। এরপর ক্রিজে আসা মাইদুল অঙ্কনকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৫৯ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। দলীয় ৬০ রানে ২১ বলে ১৭ রান করে আউট হন রিজওয়ান। 

এরপর ক্রিজে আসা তাওহিদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন অঙ্কন। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নেন অঙ্কন। তবে দলীয় ১১৩ রানে ৫৫ বলে ৬৩ রান করে আউট হন কুমিল্লার  এই ব্যাটার। শেষ দিকে রংপুরের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় কুমিল্লা। ৮ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রংপুর রাইডার্স। রংপুরের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন ওমরজাই।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি রংপুরের। পাওয়ার প্লের ৩ ওভার শেষ করার আগেই ওপেনার ব্রেন্ডন কিং হারিয়ে বসেন উইকেট। বড় শট খেলতে এগিয়ে এসে স্টাম্পড হয়েছেন ১৪ রানে থাকা কিং। এরপর বাবর আজমকে সঙ্গ দিতে আসেন ফজলে মাহমুদ রাব্বি। এই জুটিতে ৫৫ রান যোগ হলেও, রান ওঠেছে ধীরগতিতে। তবে পাওয়ার প্লের শেষ ওভার করতে এসে আলিস আল ইসলাম খরচ করেন ১৯ রান। ফলে ৪৭ রান তোলে শুরুর পাওয়ার প্লে শেষ করে বাবর আজম ও ফজলে রাব্বি। 

এই জুটি জমে গিয়ে চোখ রাঙানি দিচ্ছিল কুমিল্লাকে। তখনই ত্রান কর্তা হয়ে রংপুর রাইডার্সের পাক অলরাউন্ডার খুশদিল শাহর আগমন। খুশদিলের দ্বিতীয় ওভার করতে এসেই বাবর আজমকে আউট করে কুমিল্লাকে এনে দেন গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকথ্রু। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে আরও এক ধীরগতির ইনিংস খেলে যান বাবর। তার ৩৭ রানের ইনিংস আসে ৩৬ বলে।

সঙ্গী আউট হলে উইকেটে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রাব্বিও দলীয় ৮৯ রানে মুস্তাফিজুর রহমানে বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৩০ রান করে রাব্বি। এরপর শামীম হোসেন পাটোয়ারি ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই মিলে রংপুর রাইডার্সের সংগ্রহ টানতে থাকেন। শামীম পাটোয়ারী অবশ্য শুরু থেকেই ছিলেন বেশ ধীরগতির, একসময় ১২ বলে তার নামের পাশে ছিল ৬ রান।

এরপর রানের গতি বাড়ানো আর বাউন্ডারির চাহিদায় দ্রুতই বিদায় নিতে হয় শামীমকে। নিজের নামের পাশে ১৪ রান যোগ করতেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। শেষ দিকে আজমতুল্লাহ ওমরজাইয়ের ২০ বলে ৩৬ রানে ক্যামিও ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে রংপুর। কুমিল্লার হয়ে বল হাতে রেমন রেইফার নেন সর্বোচ্চ ২টি উইকেট।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //