রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে চালকের আসনে আছে বাংলাদেশ। প্রথম দিন ভেসে যায় বৃষ্টিতে। টাইগার বোলারদের তোপে দ্বিতীয় দিনে নিজেদের প্রথম ইনিংস ২৭৪ রানে অলআউট হয়েছে পাকিস্তান। জবাবে বিনা উইকেটে ১০ রান সংগ্রহ করে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। সাদমান ৯ বল খেলে ৬ আর জাকির ৩ বল খেলে ০ রানে অপরাজিত। পাকিস্তানের চেয়ে ২৬৪ রানে পিছিয়ে আছে টাইগাররা।
এর আগে দিনের প্রথম ওভারেই সাফল্য এনে দেন তাসকিন আহমেদ। ৬ বলে কোনো রান করার আগেই আব্দুল্লাহ শফিককে বোল্ড করেন তিনি। এমন সাফল্যের পর কিছুক্ষণ চাপ ধরে রাখলেও উইকেট পায়নি বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে সাইম আইয়ুব ও শান মাসুদের ব্যাটে উল্টো প্রতিরোধ গড়ে পাকিস্তান।
দ্বিতীয় সেশনে দাপট দেখায় বাংলাদেশ। পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদকে ফেরান মিরাজ। তার সঙ্গী সায়েম আইয়ুবকেও ফেরান তিনি। তার বলে এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিং হন ১১০ বলে ৫৮ রান করা আইয়ুব। ওই সেশনে বাংলাদেশকে তৃতীয় উইকেটটি এনে দেন তাসকিন আহমেদ। ২৮ বলে ১৬ রান করা সৌদ শাকিলকে ফেরান তিনি। চাপে থাকা পাকিস্তানকে আরও বিপদে ফেলেন সাকিব আল হাসান। ৭৭ বলে ৩১ রান করা বাবর আজম তার বলে হয়ে যান এলবিডব্লিউ।
তবে পিন্ডিতে শেষ বিকেলে চিত্র বদলে নিজের প্রথম উইকেটের দেখা পান নাহিদ রানা। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে উইকেটকিপার ব্যাটার রিজওয়ানকে নিজের শিকারে পরিণত করেন এই পেসার। তার বিদায়ে ষষ্ঠ উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরপর মিরাজের বলে তুলে মারতে গিয়ে মিড–অফে সাকিবের মুঠোবন্দি হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন খুররাম শেহজাদ।
সাকিবের বলে মুমিনুলের হাতে জীবন পাওয়া মোহাম্মদ আলিও বেশিক্ষণ ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। মিরাজের চতুর্থ শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। এরপর খানিকটা আগ্রাসী ভূমিকা দলীয় পুঁজি বাড়াতে থাকেন সালমান আলী আঘা। ফিফটিও তুলে নেন। তবে তাসকিনের পেসে পরাস্থ হন এই অলরাউন্ডার। তাসকিনের বাউন্সার খেলতে চেয়েছিলেন। তবে ঠিকঠাক টাইমিং না হওয়ায় বাউন্ডারি লাইনে সাকিবের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় তাকে। পরের ওভারে আক্রমণে এসে ক্যারিয়ারের দশম ফাইফারের মাইলফলক পূর্ণ করে দ্য গ্রিন ম্যান শিবিরকে অলআউট করেন মিরাজ। শেষমেশ ২৭৪ রানে থামে পাকিস্তান।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : পাকিস্তান বাংলাদেশ দ্বিতীয় টেস্ট খেলাধুলা
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh