মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বিদায়ী টি-টোয়েন্টিতে ভারতের দেয়া ২৯৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে বাংলাদেশ হেরেছে ১৩৩ রানে। ৭ উইকেটে করতে পেরেছে সাকুল্যে ১৬৪ রান। সেই সাথে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হলেন নাজমুল হোসেন শান্তরা।
প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে টাইগারদের বিপক্ষে মারদাঙ্গা ব্যাটিং করেছেন ভারতীয় ওপেনার সঞ্জু স্যামসন ও অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব! দ্বিতীয় উইকেটে দুজনে ৭০ বলে করলেন ১৭৩ রানের জুটি। ভারতও পায় ৬ উইকেটে ২৯৭ রানের রেকর্ড গড়া স্কোর। টি-টোয়েন্টিতে এটিই বাংলাদেশের বিপক্ষে কোনো দলের সর্বোচ্চ। আর এ সংস্করণে ভারতের সর্বোচ্চও স্কোর।
ভারতীয় ব্যাটাররা যেভাবে তাণ্ডব চালিয়েছে, কৌতুহল জাগিয়েছিল তারা টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ইনিংসে নেপালের রেকর্ড ভাঙতে পারে কিনা। তবে ইনিংসের শেষ বলে রিংকু সিং (৮*) ছয় মারলেও তিন শ’ হয়নি ভারতের। অবশ্য আইসিসির পূর্ণ সদস্য দলের পক্ষে এটিই সর্বোচ্চ স্কোর। গত বছর হ্যাংঝুতে এশিয়ান গেমসে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ৩১৪ রান করেছিল নেপাল। পাওয়ারপ্লেতে ভারতের স্কোর ছিল—১/৮২। রান রেট—১৩.৬৬। সেটি ইনিংস শেষে দাঁড়ায়—১৪.৮৫!
এত বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নামা বাংলাদেশের শুরুটাও হয় বোলিংয়ের মতো যাচ্ছেতাই। ইনিংসের প্রথম বলে ফাস্ট বোলার মায়াঙ্ক যাদবের বলে গোল্ডেন ডাক নিয়ে ফেরেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। এরপর আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের (১৫) সঙ্গে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত (১৪) করেন ৩৫ রানের জুটি। সেই জুটি ভাঙেন ওয়াশিংটন সুন্দর। এমন চাপের মুখে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে চমৎকার ব্যাটিং প্রদর্শনী দেখান লিটন দাস। নিতিশ কুমার রেড্ডির ওভারটিতে ৫ চারে নেন ২০ ওভার। তার মধ্যে শেষ চারটি বাউন্ডারি।
লিটন লড়াইয়ের আভাস দিলেও রিভার্স সুই করতে গিয়ে ফেরেন শান্ত। এরপর তাওহীদ হৃদয়কে (৪২) নিয়ে ৩৮ বলে ৫৩ রানের জুটি লিটনের। বাংলাদেশ উইকেটরক্ষক ২৫ বলে ৪২ রান করে। তবে ফিফটি পেয়েছেন তাওহীদ। তাঁর ৪২ বলে ৫ চার ও ৩ চারে অপরাজিত ৬৩ রানের ইনিংসটি শুধু হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। বিদায়ী টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা মাহমুদউল্লাহ করেছেন ৯ বলে ১ চারে ৮ রান।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh