ইরফান সেলিমের ৭ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ

নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় মামলায় প্রধান আসামি ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদের সাতদিন করে রিমান্ড চাইবে পুলিশ। 

এই মামলায় হাজী সেলিমের প্রটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দিপুরও পৃথকভাবে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ধানমণ্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া আজ মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করে।

তিনি বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাজায় ইরফান ও জাহিদ কারাগারে রয়েছেন। তাদের শোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে আদালতের কাছে রিমান্ড চাওয়া হবে। আদালতের কাছে তাদের প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ডও চাওয়া হবে।

এর আগে গতকাল সোমবার এই মামলায় গ্রেফতার হন- ইরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী মো. জাহিদ ও গাড়িচালক মিজানুর রহমান। আর দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে টাঙ্গাইল শহরে এক বন্ধুর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় দিপুকে। মিজানুর গ্রেফতারের পর রিমান্ডে রয়েছেন। 

গত রবিবার রাতে স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে বাসায় ফিরছিলেন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খান। ধানমণ্ডিতে কলাবাগান ক্রসিংয়ের কাছে সংসদ সদস্যের স্টিকারযুক্ত একটি গাড়ি তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। ওই গাড়িতে ছিলেন হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান ও তার লোকজন। 

পরে তারা গাড়ি থেকে নেমে ওয়াসিফকে মারধর করা হয়। রাতে এ ঘটনায় জিডি হলেও ২৬ অক্টোবর ভোরে হাজী সেলিমের ছেলেসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওয়াসিফ।