বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে কেন্দ্রীয় কারাগারে (কেরানীগঞ্জ) নেওয়া হয়েছে ডেসটিনি গ্রুপের এমডি রফিকুল আমীনকে।
গত শনিবার (৩ জুলাই) কারাগারে নেওয়ার পর থেকে আলাদা সেলে রাখা হয়েছে রফিকুল ইসলামকে। রফিকুল আমিন আগামী ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। এই সময়টাতে তার ওই কক্ষ থেকে থেকে বের হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এছাড়াও ভার্চুয়াল মিটিংকাণ্ডে তদন্ত চলায় তার সঙ্গে অন্য কেউ কথা বলতে পারবেন না বলেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা যায়, আদালতের নির্দেশে রফিকুল ইসলামকে ডিভিশন দেওয়া হয়েছে। তিনি এমনিতেই আলাদা রুমে থাকতেন। তবে দিনের নির্দিষ্ট সময়ে ২-৩ বার তার ঘর থেকে বের হওয়ার সুযোগ ছিল। হাসপাতালে তার জুম মিটিংকাণ্ডের পর থেকে তার চলাফেরা এবং কথাবার্তা সীমিত করা হয়েছে। তাকে নজরদারিতে পৃথক কারারক্ষী দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তার খাবারের একটি চার্ট রয়েছে। চার্ট অনুযায়ী খাবার তৈরি করে তার কক্ষের সামনে রেখে আসা হচ্ছে।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার বলেন, কারাগারকে করোনামুক্ত রাখতে গত বছরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে বাইরে থেকে কোনো বন্দি এলে তাকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে কারাগারে। যেহেতু রফিকুল আমিন দীর্ঘ দিন কারাগারের বাইরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তাই তাকেও কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তিনি ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকবেন।
রফিকুল আমিনের জুম মিটিংকাণ্ডে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এদিকে হাসপাতালে রফিকুল আমিনের প্রিজন সেলের নিরাপত্তার দায়িত্বে কারারক্ষী ছাড়াও ছিলেন শাহবাগ থানার পুলিশ কর্মকর্তারা। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুদ হাওলাদার বলেন, ‘ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার আমাদের নেই। কারা কর্তৃপক্ষের একটি তদন্ত কমিটি রয়েছে। তারাই ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সুপারিশ করবেন।’
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : ডেসটিনি রফিকুল আমীন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh