কক্সবাজারে গিয়েছিলেন নিখোঁজ সেই ৩ শিক্ষার্থী

রাজধানীর পল্লবী থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও সনদ নিয়ে নিখোঁজ সেই তিন কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করেছে র‍্যাব। তারা ঢাকা থেকে কক্সবাজার গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

বুধবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে র‍্যাব-৪ এর উপ-অধিনায়ক মেজর রবি খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছিলাম। তাদের অবস্থান শনাক্তের পর আমাদের একটি টিম কক্সবাজারে যায়। সেখানে আমাদের সদস্যরা তাদের অনুসরণ করেন। গতকাল তারা কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন। আমাদের সদস্যরাও তাদের অনুসরণ করে ঢাকায় আসেন। মিরপুরে প্রবেশের সময় তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়।

তিনি বলেন, শিগগির তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তারা তিনজনই সুস্থ আছেন।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে দিলখুশ জান্নাত নিশা, কানিজ ফাতেমা ও নেহা আক্তার নামে তিন বান্ধবী বাসা থেকে বের হন। তারা কলেজ ড্রেস পরে এবং ব্যাগ নিয়ে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু তারা আর বাসায় ফেরেননি। পরে নিখোঁজদের পরিবার জানায়, ওই ছাত্রীরা বাসা থেকে বের হওয়ার সময় নগদ টাকা, স্বর্ণের গহনা, নিজেদের সার্টিফিকেট নিয়ে গেছে।

এ ঘটনায় গত শনিবার (২ অক্টোবর) রাতে নিখোঁজ শিক্ষার্থী দিলখুশ জান্নাত নিশার বড় বোন অ্যাডভোকেট কাজী রওশন দিল আফরোজ বাদী হয়ে পল্লবী থানায় মামলাটি করেন। মামলার আসামিরা হলেন মো. তরিকুল্লাহ (১৯), মো. রকিবুল্লাহ (২০), জিনিয়া ওরফে টিকটক জিনিয়া রোজ (১৮) ও শরফুদ্দিন আহম্মেদ অয়ন (১৮)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নিখোঁজ কাজী দিলখুশ জান্নাত নিশা (১৬) পল্লবী থানাধীন সেকশন-১১, ব্লক-সি, ১৮ নম্বর রোডের মায়ের সঙ্গে বসবাস করতেন। তিনি মিরপুর গার্লস আইডিয়াল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। লেখাপড়ার সুবাদে এক নম্বর আসামি তরিকুল্লাহ, রকিকুল্লাহ, জিনিয়া ওরফে টিকটক জিনিয়া রোজ ও শরিফুদ্দিন আহম্মেদ অয়নসহ দিলখুশের বান্ধবী লেহা আক্তার (১৭) ও কানিজ ফাতেমার (১৮) সঙ্গে পরিচয় হয়।

তিন নম্বর আসামি জিনিয়া প্রায় সময় দিলখুশের বাসায় আসা-যাওয়া করতেন এবং প্রায় সময়ই তরিকুল্লাহ ও জিনিয়া বাসায় এসে নিশাকে ঘোরাফেরার জন্য বাইরে নিয়ে যেতেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে দিলখুশ বাসা থেকে বের হন।

এজাহারে বলা হয়, নিখোঁজের পর তার পরিবারের সদস্যরা খোঁজ করে দেখতে পান, আলমারির ভেতরে রাখা ৬ লাখ টাকা, স্বর্ণের গহনা, স্কুল সার্টিফিকেট ও জন্মনিবন্ধনপত্র নেই। তার বান্ধবী নেহা আক্তারের বাবা জানান, বাসা থেকে তার মেয়ে নগদ ৭৫ হাজার টাকা, সার্টিফিকেট ও জন্মনিবন্ধনপত্র নিয়ে গেছে। এছাড়া কানিজ ফাতেমার বাবা জানান, তার মেয়েও বাসা থেকে আড়াই ভরি স্বর্ণের গহনা, স্কুল সার্টিফিকেট ও জন্মনিবন্ধনপত্র নিয়ে গেছে।

এ ঘটনায় করা মামলায় গত রবিবার (৩ অক্টোবর) রকিবুল্লাহর (২০) দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। অন্যদিকে আসামি মো. তরিকুল্লাহ (১৯), জিনিয়া ওরফে টিকটক জিনিয়া রোজ (১৮) ও শরফুদ্দিন আহম্মেদ অয়নকে (১৮) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //