আমার বাবা অমলেন্দু বিশ্বাস ও যাত্রা শিল্পের কষ্ট

এক 
দেশকাল পত্রিকা থেকে আমার বাবাকে নিয়ে লেখা চেয়েছে। শিল্পী সমিতির নির্বাচনি ব্যস্ততার কারণে লিখবো কী লিখবো না ভাবছিলাম। বাবাকে নিয়ে লিখবার সাহস হচ্ছিল না, তাই এড়িয়ে যেতে চেয়েছিলাম। সালেহীন বারবার ফোন করছিল। ভাবলাম নতুন কোনো পাঠক পড়ে আমার বাবা সম্পর্কে জানতে পারেন; তার কাজ নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠতে পারেন, তাই বাবাকে নিয়ে লেখার সাহস করলাম।

বাবা আমার অস্তিত্বের সঙ্গে মিশে আছেন সমস্ত কাজের প্রেরণা হয়ে। বাবাকে নিয়ে কখনো লিখতে ইচ্ছে করেনি তা নয়। তবে লিখিনি ভয়ে, এত বড় মানুষ; একজন অমলেন্দু বিশ্বাস সম্পর্কে আমি নগণ্য একজন লিখি কী করে?

অমলেন্দু বিশ্বাস।

তবুও আমি তার সন্তান, কত স্মৃতি, কত অনুভব, মান-অভিমান আরও কত কিছু তাঁকে ঘিরে। তখন আমি চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী, ভারতেশ্বরী হোমস, মির্জাপুরে পড়ি। হাফ ইয়ারলি পরীক্ষায় আমি গণিতে ফেল করি এবং ইংরেজিতে এত কম নম্বর পাই যে, বাবা আমার সঙ্গে তিন মাস কথা বলেননি, শুধু পড়ালেখা ছাড়া। এরপর আর কখনো রেজাল্ট খারাপ হয়নি। বাবার সঙ্গে রিকশায় উঠলে সব সাইনবোর্ডগুলোর লেখা জোরে জোরে পড়তে বলতেন। কারণ শুদ্ধ উচ্চারণ। আমি শুদ্ধভাবে উচ্চারণ করতে পারি কি-না দেখতেন। 

আমি অবাক হয়ে যেতাম, এমন সুন্দর মানুষটি আমার বাবা! যেমন সুন্দর দেখতে, তেমনি কথাও বলতেন একেবারে শুদ্ধ উচ্চারণে, ভরাট গলায়। যারা বাবাকে দেখেছেন তারা জানেন, সেই সময়ের মেয়েরা তো বটেই- পুরুষদের কাছেও বাবা ছিলেন আদর্শ এবং স্টাইলের প্রতীক। খুব ছোটবেলা থেকেই বাবার অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক। বাবা তার মা, মাসী, বৌদিদের কাপড় দিয়ে স্টেজ সাজিয়ে অভিনয় করতেন।

আমার ঠাকুমা খুবই ভালো গান করতেন, ঠাকুরদা লেখালেখি করতেন। হয়তো তাই বাবার ভেতরে থেকে গেছে অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা। অবশ্য এ সবই ঠাকুমা, বাবার কাছ থেকে শোনা। বাবার জন্ম, বেড়ে ওঠা, পড়াশোনা সবই রেঙ্গুন শহরে। আমার ঠাকুরদা ছিলেন কাস্টমস ইন্সপেক্টর, সে কারণে ওখানেই থাকতে হয়েছিল। বাবার জীবন ছিল রোমাঞ্চকর। কখনো সেনাবাহিনীতে, কখনো বোম্বে টকিজে ছিলেন। তিন বছরের চুক্তিতে অভিনয় করার জন্য স্বাক্ষরও করেছিলেন; কিন্তু বাবার ধরাবাঁধা জীবন পছন্দ ছিল না। তাই থিতু হতে পারেননি এক জায়গায়। 

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের আগে আমাকে বাবা ভারতেশ্বরী হোমস মির্জাপুরে ভর্তি করে দেন। রণদাপ্রসাদ সাহা, যাকে আমরা ‘দানবীর রায় বাহাদুর’ নামেই জানি। বিশেষ করে মেয়েদের জন্য তিনি সমাজে অনেক প্রতিষ্ঠান করেছেন। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল এমন একটি স্কুলে পড়ার। কারণ বাবাকে রণদাপ্রসাদ সাহা খুব ভালোবাসতেন। তিনিই বলেছিলেন, মেয়েকে এখানেই ভর্তি করিয়ে দাও, ওকে আমি বড় একজন মানুষ বানিয়ে দেবো।

তুমি তো দেশে দেশে যাত্রাদল নিয়ে ঘোরো, মেয়েকে ঠিকমতো পড়াতে পারবে না। তখন বাবা আমাকে হোমসে ভর্তি করিয়ে চলে গেলেন। কিছুদিন পরই যুদ্ধ শুরু হলো। বাবা মা তখন রংপুর সীমান্ত এলাকায় যাত্রা নিয়ে ব্যস্ত। ২৫ মার্চের জঘন্য হত্যাকাণ্ডের পরে তারা পশ্চিমবঙ্গে চলে যান। কিছুতেই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। মাঝে মাঝে অনেক দুঃসংবাদ পাচ্ছিলেন। বাবা ভেবেছিলেন আমি বুঝি আর বেঁচে নেই। বাবা প্রায় পাগল হয়ে যাচ্ছিলেন। আমি বাবার ডায়েরিতে পেয়েছি। বাবা ডায়েরি লিখতে ভালোবাসতেন। 

বাবা অভিনয় নিয়ে যত ব্যস্ত থাকুক না কেন সংসারের প্রতি তার অগাধ টান ছিল। মা অভিনয় করতেন, কিন্তু কোনো কিছুর প্রয়োজন অনুভব করার আগেই বাবা তা নিয়ে আসতেন। তিনি বাজার করতে খুব ভালোবাসতেন। যেদিন বাজারে যেতেন- লোকজন বুঝতে পারতেন, আজ বিশ্বাসবাবু বাজারে এসেছেন। ভীষণ সৌখিন মানুষ ছিলেন। যেমন খেতে ভালোবাসতেন, ঠিক তেমনি মানুষকে প্রাণভরে খাওয়াতে ভালোবাসতেন। মাকে প্রায়ই বলতেন, পাঁচ তরকারির নিচে তরকারি টেবিলে দেবে না। আমি কি গরিব নাকি?

যখন আমি দু’মাসের জন্য স্কুল ছুটিতে আসতাম, দেখতাম এলাহী কাণ্ড! আম, কাঁঠাল, লিচু, মুরগি, মাছ, ঘি, মাংস এনে ঘর ভরে রেখেছেন। এখন মনে হয় জমিদার, জমিদারি আচরণ ছিল বাবার মধ্যে। বাবাকে ভালোবাসতেন না এমন মানুষ আমি খুঁজেই পাই না। এখনো গ্রামে গেলে বাবা-মা’র কথা মানুষ গর্বের সঙ্গে উচ্চারণ করেন। অনেকে বলেন, ‘তিনি ছিলেন অভিনয়ের ঈশ্বর’। তখন অডিও, ভিডিও ছিল না; কিন্তু তার গুণমুগ্ধ ভক্তের অভাব নাই। বাবা বলতেন, একজন ভালো মানুষই একজন ভালো অভিনেতা হতে পারে। এখন অবশ্য এসব আর কেউ ভাবেই না। 

কামাল লোহানী কাকা, কলিম শরাফীসহ আরো অনেকেই গণসংগীত গাইতেন। আমি তখন অনেক ছোট। বাবা আমাকে মাঝে মাঝেই তার সঙ্গে এদিক-সেদিক নিয়ে যেতেন। আমার ছেলেবেলায় অনেক বড় বড় মানুষকে দেখে বেড়ে উঠেছি। বিশ্ববিখ্যাত শিল্পী এস এম সুলতান, ঢাকা ইউনিভার্সিটির বাংলার অধ্যাপক নরেন বিশ্বাস, জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ, রামেন্দু মজুমদার, আবদুল্লাহ আল মামুন, মামুনুর রশীদ, জিয়া হায়দার, মনোজ সেনগুপ্ত, সৈয়দ শামসুল হক, ফটোগ্রাফার বেলাল আহমেদ কার নাম বাদ রেখে কার নাম বলব? অনেকেই সন্ধ্যায় আমাদের ধানমন্ডির বাসায় আসতেন আড্ডা দিতে। নন্দিত অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদী বাবাকে ‘স্যার’ সম্বোধন করতেন এবং যাত্রায় অভিনয় করতেও চেয়েছিলেন। 

বাবা খেতে ভালোবাসতেন বলে আমি রান্না করতে শিখেছিলাম। বাবাকে রান্না করে খাওয়াতাম। ভালো না হলেও বলতেন, খুব ভালো রেঁধেছিস। ভোরে উঠেই বাবার বিছানায় গিয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে থাকতাম। তখন কিন্তু আমি ছোট না, ইন্টারমিডিয়েট শেষ করে ইডেন কলেজে ভর্তি হয়েছি। বাবাকে জড়িয়ে থাকতে খুবই ভালো লাগতো। আমার আর আমার ভাইয়ের জন্য প্রতিদিন হাত ভরে খাবার জিনিস নিয়ে আসতেন। খুব ভোরে মাঝে মাঝে আমাদের দু’জনকে কোলে বসিয়ে কেক খাওয়াতেন।

এতেই যেন ছিল বাবার আনন্দ। পরিবারকে কীভাবে ভালোবাসতে হয় সেটা বাবা শিখিয়েছেন। আসলে এক জীবনে আমার বাবার সম্পর্কে লিখে শেষ করতে পারব না। আর আমি তেমন লেখায় অভ্যস্তও নই। তবুও অনুরোধে লিখলাম, তবে হ্যাঁ বাবাকে নিয়ে লিখব অনেক অজানা কথা। একজন সংগ্রামী অভিনেতা যে নাকি সত্যিকারের দেশপ্রেমিক, মানুষকে ভালোবাসতেন, পরিবারকে ভালোবাসতেন। 

এমন বাবা যেন প্রতিটি পরিবারে থাকে, বাবার উপস্থিতি টের পাই যখন কোনো কষ্ট, দুঃখ সামনে আসে। তখন মাথার ওপর বাবার হাতের ছোঁয়া পাই। এটাই তো আমার জন্য বাবার আশীর্বাদ। আমার চলার শক্তি। অনেক বড় বড় অভিনেতাকে দেখেছি বাবার পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নিতে। গর্বে আমার বুক ভরে যায়, এমন একজন মহান শিল্পী আমার বাবা। তিনি তো শুধু যাত্রার অভিনেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন অভিনয়ের ঈশ্বর। গোলাম মোস্তফা, আনোয়ার হোসেন, হুমায়ুন ফরিদীসহ সবাই তাকে তাই মনে করতেন। 

দুই
১৩ অক্টোবর, ১৯৮৭। বাংলাদেশের যাত্রাজগতের অপ্রতিদ্বন্দ্বী অভিনেতা নির্দেশক অমলেন্দু বিশ্বাস সবাইকে বিহ্বল করে দিয়ে পরপারে পাড়ি জমালেন। মুকুট তাঁর মাথায় উঠেছিল বাংলাদেশের অভিনয়, সংস্কৃতি ও প্রিয় মানুষের কাছ থেকে। সেই সম্রাট জন্ম ও প্রয়াণ দিবস আজ নীরবে আসে চলে যায়; কিন্তু আমরা সেভাবে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারি না। সন্তান হিসেবে এটা আমাকে খুব কষ্ট দেয়। 

কালকাতার বিখ্যাত যাত্রাদল ‘নট্ট কোম্পানি’তে নাম লিখিয়েছিলেন অমলেন্দু। স্ত্রী আমার মা জ্যোৎস্না বিশ্বাস ও সদ্য জন্মানো ভাই মিঠুকে রেখে অভিনয় পেশায় নাম লেখালেন। ‘গঙ্গা থেকে বুড়িগঙ্গা’ ও ‘লালন ফকির’ পালায় অসাধারণ অভিনয় করলেন। তাঁর উচ্চারণ, সংলাপ প্রক্ষেপণ ও অভিনয় দিয়ে মাতিয়ে দিলেন যাত্রামোদি দর্শককে। বাংলার পূর্ব ঐতিহ্য বহাল থাকল। তাঁকে বলা যায় দুই বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিনেতা। বাংলাভাষীদের কাছে অভিনয় সম্রাট, তিনিই আমার বাবা। এটা ভাবতেই এখন আমি শিউরে উঠি! এত বড় বিখ্যাত মানুষের সন্তান আমি। চলচ্চিত্র, মঞ্চ ও যাত্রামঞ্চ এই তিন শিল্পমাধ্যম মিলিয়েও বাবার কাছে দাঁড়াতে পারলাম না। 

অরুণা বিশ্বাস। 

যাত্রা এখন ক্ষয়িষ্ণু শিল্প। কারণ, তার অভিভাবক নেই। আইটিআইর অতিথি এলে যাত্রা জগতের লোকদের ডাক পড়ে। যারা বিদেশি, তারা আধুনিক থিয়েটার দেখতে চান না। বাংলাদেশের লোকনাট্য যাত্রাভিনয় তাদের সামনে উপস্থিত করাতে তাই সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ বোধহয় তখন বাধ্য হয়েই অপাংক্তেয় যাত্রা শিল্পীদের ডাকেন। এখানে উল্লেখ করতে হয়, অভিনয়সম্রাট বেঁচে থাকতে নগর নাট্যকারদের দ্বারা দেশীয় ঐতিহ্যের পালা রচনা করাতে চেয়েছিলেন; কিন্তু কেবল বাকশিল্পী নরেন বিশ্বাস ‘গোর্কীর মা’ এবং মামুনুর রশীদ ‘এখানে নোঙর’ পালারূপে তাঁকে দিয়েছিলেন। আর কোনো নগর নাট্যকারকে এ-কাজে তাঁকে সহযোগিতা করতে পাওয়া যায়নি। একি তবে আমাদের ভদ্রলোকচিত উন্নাসিকতা?

ভদ্রলোকদের জন্য অমলেন্দু বিশ্বাস ‘চারণিকা যাত্রা সমাজ’ ছাড়াও আরেকটি লাইসেন্স করেছিলেন- ‘চারণিকা নাট্য গোষ্ঠী’। সেখানে আমাদের মতো ভদ্রলোকের চোখে আঙ্গুল দিয়ে মহামতি লেনিন, এডলফ হিটলার, মাইকেল মধুসূদন, মহীয়সী কৈকেয়ী, জাহান্দার শাহ পালা নির্বাচন করেছিলেন। এদেশের ঘুণেধরা সমাজটাকে ভাঙার জন্য পশ্চিমবঙ্গে রচিত পালাগুলো মঞ্চায়ন করতেন। কারণ, তিনি মনে করতেন, সীমান্তের দুই পাড়ের সমাজ আসলে একই ছাদের নিচের মানুষ।

তিনি সমাজটাকে জাগাবার জন্য অচল পয়সা, দেবী সুলতানা, দস্যু জছুলন, মায়ের আঁচল, সাধক রামপ্রসাদ, লালন ফকীর, সিরাজ-উদ-দৌল্লা, রাণী ভবানীসহ বিচিত্র পালা দর্শক সম্মুখে এনেছিলেন। দেশীয় ঐতিহ্যকে তুলে ধরে সমাজ ভাঙার গান গেয়েছেন মঞ্চে, গ্রামে, গঞ্জে। এ নিয়ে তাঁর কোনো খেদ ছিল না। একজন সত্যিকার পার্টিজান কমরেড। দলে গিয়ে মার্কসবাদ কপচাননি। সাম্যবাদের কবিতা গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে পাঠ করেছিলেন তিনি। 

যাত্রা শিল্প ঝিমিয়ে পড়েছে। সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠীর যে উদ্দেশ্য ছিল তা সফল হয়েছে। আমরাই তাতে সহযোগিতা করেছি। রাজনৈতিকভাবে যেমন মৌলবাদের উত্থানকে সহযোগিতা করেছি, তেমনি যাত্রা শিল্পের কবর যারা রচনা করেছে তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছি। আর একজন অমলেন্দু বিশ্বাস তো আমাদের মাঝে নেই; কিন্তু অমলেন্দু বিশ্বাস হারাবেন না। বিক্রমপুরের কৃতী সন্তান ড. নিশিকান্ত চট্টোপাধ্যায় সর্বপ্রথম যাত্রা শিল্পের ওপর অভিসন্দর্ভ রচনা করেছিলেন। অনেককাল পেরিয়ে আজ তা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটকের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। অমলেন্দু বিশ্বাসও তাই। এদেশের ‘ঐতিহ্যিক অভিনয় রীতি’ জানতে হলে অমলেন্দুকে বাদ দিয়ে পাঠ নেওয়া যাবে না। 

তিন
৩৩ বছর হয়ে গেছে আমার বাবা অমল বিশ্বাস নেই। এত বছর হয়ে গেছে মনেই হয় না। কারণ তার উপস্থিতি এত প্রাণময়, এত উজ্জ্বল ছিল যে সবাই তাঁকে মনে রেখেছেন। এদেশের যাত্রা শিল্প সম্পর্কে বলতে গেলে তাঁকে স্মরণ করতেই হবে; কিন্তু তাঁকে নিয়ে সে রকম গবেষণা হয়নি। অমল বিশ্বাস ১৭৫টি যাত্রাপালায় অভিনয় করেছেন; কিন্তু সে তালিকা এখন আর পাওয়া যায় না। এটা শুধু সন্তান হিসেবে নয় বাংলাদেশের যাত্রা শিল্পের জন্য একটি দুঃখের বিষয়। অমলেন্দু বিশ্বাসকে নিয়ে আরও অনেক গবেষণা হওয়া দরকার। তাঁর অভিনীত যাত্রাপালাগুলোকে সরকার পৃষ্ঠপোষকতা করতে পারতো, কিন্তু তা হয়নি। আমাদের দুঃখ-কষ্ট এখানেই।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //