প্রযোজক-পরিচালকদের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন মুনমুন

১৯৯৭ সালে পরিচালক এহতেশাম পরিচালিত ‘মৌমাছি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ঢালিউডে প্রবেশ করেন মুনমুন। ২০০৩ সাল পর্যন্ত একটানা সিনেমায় কাজ করেছেন এ নায়িকা। তবে অশ্লীলতার জন্য তার বিপক্ষে তৎকালীন সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করার পর থেকে তার চলচ্চিত্রে উপস্থিতি কমে যায়। মুনমুন এখন সিনেমায় অনেকটাই অনিয়মিত। 

তবে অশ্লীল সিনেমার তকমা নিতে নারাজ  মুনমুন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমি কোনো অশ্লীল ছবি করিনি, যারা করেছে তারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে। আমার যদি সে রকম কিছু থাকত তাহলে আজ বের হত। 

৬ বছরে ৮০ টির মতো সিনেমায় কাজ করেছেন মুনমুন। তবে ১ বছরে সিনেমার সংখ্যা হাতেগোনা ১০টির মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন। বলা যায় এখন অভিনয়ে একেবারেই অনিয়মিত। তাই এই নায়িকাকে নিয়ে খুব একটা আলোচনা হয় না। এ প্রসঙ্গে মুনমুন বললেন, ‘আমরা হচ্ছি সূর্যের মত। যতক্ষণ আলো থাকে ততক্ষণ আলোচনায় থাকি। আলো নেই কেউ মনেও রাখেন না।’

‘টারজান কন্যা’ ছবি দিয়ে আলোচনায় আসেন মুনমুন। আর ‘রানী কেন ডাকাত’ ছবি তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় বলে জানান তিনি। পরিচালক এহতেশামের মত যে পরিচালকের হাত ধরে  শবনম, শাবানা, শাবনাজ, শাবনূরের মতো তারকারা পর্দায় এসেছেন সেই একই পরিচালকের হাত ধরে আসেন মুনমুনও। কিন্তু অন্যরা প্রশংসা নিয়ে বাঁচলেও মুনমুনকে অশ্লীর ছবির নায়িকার তকমা মাথায় নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে। এ জন্য পরিচালক-প্রযোজকদের বেশি করে দুষলেন তিনি। 

মুনমুন জানালেন, লেডি অ্যাকশন ছবিতে তাঁর ব্যাপক চাহিদা ছিল। ‘রানী কেন ডাকাত’ মুক্তির পর সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ল। প্রযোজক-পরিচালকেরা এ সময় মুনমুনকে ব্ল্যাকমেল করাও শুরু করেন বলে দাবি তাঁর। বললেন, ‘হঠাৎ করে আমার আলোচিত হওয়াটা অনেকে ভালোভাবে নিতে পারেননি। সত্যি কথা বলতে, আমি খুব পরিশ্রমী ছিলাম। চেষ্টা করতাম, অভিনয় ভালো করে করার। কিন্তু প্রযোজক–পরিচালকদের একটা গ্রুপের সঙ্গে আমার পোশাক নিয়ে প্রতিনিয়ত ঝগড়া হতো। মন–কষাকষি হতো। আমাকে স্বল্পবসনা হয়ে পর্দায় উপস্থিত করানোর জন্য চাপ দেওয়া হতো। প্রায় ছবিতে শর্টপ্যান্ট পরতে বাধ্য করতেন। আমারও বলার স্বাধীনতা ছিল না। তবে তখন শুধু একা আমি নই, অনেক নায়িকাই শর্টপ্যান্ট পরতেন, বদনাম হতো শুধু আমার! 

সব শেষ মুনমুন অভিনীত ‘রাগী’ নামের একটি ছবিতে অভিনয় করেছেন। ছবিটিতে খল চরিত্রে দেখা গেছে তাকে। 

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //