স্বাধীন বিচার ব্যবস্থায় সরকার হস্তক্ষেপ করে না: কাদের

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের সকল দুর্নীতিবাজ সরকারের নজরদারিতে রয়েছে। সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত হত্যা মামলার রায় প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থায় আওয়ামী লীগ সরকার হস্তক্ষেপ করে না এই রায়ই তার প্রমাণ।

ফেনীর মহিপাল সার্কিট হাউসে আজ শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই রাষ্ট্রনায়ক, যিনি শুদ্ধি অভিযান করতে গিয়ে নিজের দলের লোকজনকে দিয়েই অভিযান শুরু করেছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে শেখ হাসিনা নিজের দলের লোকের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা বিরল হয়ে রইবে। তিনি প্রমাণ করেছেন অপরাধ করলে নিজের দলেরও কোনো ছাড় নেই। দুর্নীতি-মাদক-টেন্ডারবাজিসহ যেকোনো সেক্টরে যারা অপরাধ করছে তাদের বিষয়ে তদন্ত চলছে।’

দুর্নীতি মামলায় এক সংসদ সদস্যের সাজা ও একাধিক জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে চলমান মামলার উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘স্বাধীন বিচার ব্যবস্থায় সরকার হস্তক্ষেপ করে না। নুসরাত হত্যার রায়ের মামলায় আসামিদের মধ্যে একজন আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন। তাকেও অপরাধের দায়ে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছে। এতে প্রমাণ হয় আওয়ামী লীগে অপরাধীর কোনো ছাড় নেই। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মামলার ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে ছিলেন।’

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা বিষয়ে কাদের বলেন, ‘খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে পুঁজি করে বিএনপি দূরভিসন্ধি করছে। বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে দলের নেতা ও স্বজনরা যে চিত্র তুলে ধরেন, চিকিৎসকদের অবজারভেশনের সঙ্গে তার মিল নেই। তারা খালেদার শারীরিক অবস্থা নিয়ে যতটা উদ্বিগ্ন, তার চেয়ে বেশি অসুস্থতা নিয়ে আন্দোলনের ইস্যু করতে চায়।’

জয়নাল হাজারীর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হওয়ার আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সুনিদির্ষ্টভাবে কিছু বলতে পারছি না, সভাপতি নির্দেশ দিলে সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর সম্বলিত চিঠি যাওয়ার কথা। কিন্তু আমি কোনো চিঠি দেইনি।’

রোহিঙ্গাদের বিষয়ে তিনি আরো বলেন, তাদের চলে যেতে হবে, আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে, ক্রমাগত বাড়ছে। চীন, ভারত থেকে চাপ আসছে। সব দিক থেকে মিয়ানমার সরকার চাপে রয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, ফেনী ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুর রহমান বিকম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরন্নবী প্রমুখ।