চুয়াডাঙ্গায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে ক্যাপসিকাম

চুয়াডাঙ্গায় বাণিজ্যিকভাবে ক্যাপসিকামের আবাদ শুরু হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ক্যাপসিকাম আবাদে ভাল ফলন পাওয়া যাচ্ছে। 

এ সবজির চাহিদা রয়েছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। চুয়াডাঙ্গায় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। বাজারে দাম তুলনামূলক ভাল। 

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাড়াবাড়ীয়া গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে ক্যাপসিকামের চাষ। ১২ বিঘা জমিতে পরিকল্পিতভাবে ক্যাপসিকাম চাষ করেছে এগ্রি কনসার্ন ফার্ম। আবহাওয়া উপযোগী ও মাটি উর্বর হওয়ায় ক্যাপসিকামও ধরেছে ভাল। 

ক্যাপসিকাম আবাদের উপযুক্ত সময় হল অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাসের মধ্যে। চারা রোপনের আগে পলিথিন দিয়ে বেড তৈরি করতে হয়। ক্যাপসিকামের চারা গাছ লাগানোর ৬০ দিন পর গাছ থেকে ফল পাওয়া যায়। কয়েক মাস পর্যন্ত গাছ থেকে ফল পাওয়া যায়। প্রথম পর্যায়ে ফলের রং সবুজ হয়। 

চুয়াডাঙ্গার বাজারে এর চাহিদা অল্প থাকায় ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিক্রি করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ১৮ মণের বেশি ক্যাপসিকাম বিক্রি করা হয়েছে। যার বাজার মূল্যে প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা। ১২ বিঘা জমিতে প্রায় ৬ হাজার ক্যাপসিকাম গাছ রয়েছে। প্রতি বিঘা ৩ টন করে ১২ বিঘা জমিতে ৩৬ টন অর্থাৎ ৩৬ হাজার কেজি ক্যাপসিকাম ফল পাওয়া যাবে, যা বিক্রি করে ৩৬ লাখ  থেকে ৪৩ লাখ ২০ হাজার টাকা আয় হবে। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর লাভজনক এ আবাদ জেলায় ছড়িয়ে দিতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক ( উদ্ভিদ সংরক্ষণ) সুফি মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান বলেন, ক্যাপসিকাম যেকোনো খাবারের সাথে সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। এটিতে মরিচের মত গন্ধ থাকলেও ঝাল নেই। চুয়াডাঙ্গায় উৎপাদিত ক্যাপসিকাম জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন ফার্স্টফুড, তারকা হোটেল, চাইনিজ রেস্তরা ও বিদেশি দুতাবাস গুলোতে সরবরাহ করা হচ্ছে। 

তিনি বলেন, ক্যাপসিকাম একটি লাভজনক ফসল হওয়ায় এর আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা আবাদে যে কারিগরি শিক্ষা আছে তা আমরা কৃষকদের দিয়ে যাচ্ছি। এ আবাদটি করে কৃষকরা লাভবান হবেন।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //