মাগুরার শ্রীপুর উপজেলা থেকে পিকুল বিশ্বাস (৩৬) নামে এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছ পুলিশ।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে চৌগাছি গ্রামের কলপাড়ের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মাগুরার পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান জানান, পিকুল বিশ্বাস গত ২ মার্চ শ্রীপুর উপজেলার চৌগাছি গ্রাম থেকে গাজীপুরে কাশিমপুরে তার বোনের বাড়িতে বেড়ান যান। পরদিন তিনি বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়ে নিখোঁজ হন। ৭ মার্চ তার পরিবারের পক্ষ থেকে নিখোঁজের বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে পুলিশ নিশ্চিত হয়-৩ মার্চ পিকুল শ্রীপুরে আসেন এবং পিকুলের সঙ্গে তার বাড়ির পাশের গ্রাম চরমহেশপুরের রাজিয়া সুলতানার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কথা হয়। পুলিশ মোবাইল ফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে রাজিয়া সুলতানা ও তার প্রবাসী স্বামী কাজী মোশারফ হোসেনকে শুক্রবার আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
পুলিশ সুপার রেজোয়ান জানান, জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা স্বীকার করেন ৩ মার্চ পিকুলকে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। ওই রাতে দুধের সঙ্গে একাধিক ঘুমের বড়ি মিশিয়ে খাওয়ানোর পরে পিকুল অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর তার গলা কেটে হত্যা করে বাড়ির পাশের কলপাড়ে গর্ত খুঁড়ে মাটিচাপা দেন।
হত্যার কারণ সম্পর্কে পুলিশ সুপার বলেন, মূলত প্রবাসী কাজী মোশারফ হোসেনের স্ত্রীর রাজিয়া সুলতানার সঙ্গে পরকিয়ার জেরে স্বামী-স্ত্রী মিলে পরিকল্পিতভাবে পিকুলকে হত্যা করে মরদেহ মাটিচাপা দিয়ে গুম করে।
তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোশারফ হোসেনের চরমহেশপুর গ্রামের বাড়ির কলপাড়ের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা করে এবং মোশারফ হোসেন ও রাজিয়া সুলতানা দম্পতিকে আটক করে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh