নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২০, ০৯:০৭ এএম
আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২০, ০৯:০৮ এএম
প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২০, ০৯:০৭ এএম
নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২০, ০৯:০৮ এএম
নভেল করোনাভাইরাসে দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জেলা নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জনসহ জেলার ঊর্ধ্বতন বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা কোয়ারেন্টিনে আছেন।
নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একজন চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বিভিন্ন সভা ও কার্যক্রমে ওই ডাক্তারের সংস্পর্শে এসব ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসেছিলেন- এমন সন্দেহে তারা কোয়ারেন্টিনে আছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মনিরুল ইসলাম।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে কি না, তা পরীক্ষার জন্য গতকাল বুধবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম কোয়ারেন্টিনে আছেন। তবে তারা কোয়ারেন্টিনে থাকলেও বাসা থেকে বসেই টেলিফোনে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন সহকর্মীদের। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাও বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন। এদিকে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজও কোয়ারেন্টিনে আছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন মঙ্গলবার রাত থেকে হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে বুধবার তিনি তার বাংলোয় বিশ্রামে ছিলেন। বাংলো থেকেই জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন দুপুরে তার করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠায়।
জেলা প্রশাসক , সিভিল সার্জন, পুলিশ সুপার ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বুধবার অফিস করেননি।
জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেন, আমি সুস্থ আছি। আমি কোয়ারেন্টিনে নেই, তবে ডিসি ও সিভিল সার্জন একটু অসুস্থ। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামের করোনা সন্দেহ হওয়ায় যেহেতু আমি তাদের সংস্পর্শে ছিলাম, তাই বাড়িতেই অফিস করছি।
জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, আমি আসলে কোয়ারেন্টিনে আছি। বাসায় বসে অফিস করছি। টেলিফোনে নির্দেশ দিচ্ছি।
করোনা বিষয়ক জেলা ফোকাল পারসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমি আইসোলেশনে আছি। শরীর ভালো না, অসুস্থ। মুঠোফোনে যতটুকু পারছি চালিয়ে যাচ্ছি।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় মঙ্গলবারই নারায়ণগঞ্জ জেলাকে অবরুদ্ধ ঘোষণা করা হয়। তার পরদিনই প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কার্যালয়ে না যাওয়ার খবর জানা গেল।
নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক নারীসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয়সহ মোট ৪৬ জন। তারা আইইডিসিআরের অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : নারায়ণগঞ্জ করোনাভাইরাস কোয়ারেন্টিন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh