কীটনাশক দিয়ে পাকানো ৩০ হাজার আনারস ধ্বংস

পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় অপরিপক্ব আনারস কীটনাশক দিয়ে পাকানোর অভিযোগে ৩০ হাজার পিস আনারস জব্দ করে ধ্বংস করেছে প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার বগাছড়ি সতেরোমাইল জিতেনপাড়া ও উনিশমাইল নামক এলাকার দুটি বাগান থেকে আনারস জব্দ করে ধ্বংস করা হয়। অসাধু দুই আনারস ব্যবসায়ী হলো শাহজাহান ও মোস্তফা মিয়া। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শিউলি রহমান তিন্নী জানান, কিছু আনারস ব্যবসায়ী একেবারে অপরিপক্ব আনারস বিভিন্ন কীটনাশক মিশিয়ে পাকিয়ে তা ঢাকায় বিক্রিয় জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় আমরা ট্রাকসহ আনারস জব্দ করি। ট্রাক চালকের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম কীটনাশক মেশালে ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে আনারসগুলো পেকে যায়। অসাধু দুই ব্যবসায়ীকে আটকের জন্য পুলিশ খোঁজখবর নিচ্ছে।

নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বির হোসেন বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিলো কিছু ব্যবসায়ী অতি মুনাফা লাভের আসার অপরিপক্ব আনারস ওষুধ দিয়ে পাকিয়া তা ঢাকায় বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করি এবং ৩০ হাজার পিস আনারস জব্দ করতে সক্ষম হই। তবে ব্যবসায়ীকে হাতে নাতে ধরতে না পারলেও তার পরিচয় জানা সম্ভব হয়েছে। যতদিন আনারসের মৌসুম থাকবে ততদিন আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। 

নানিয়ারচর মৌসুম ফল ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বলেন, করোনার এই মহামারীর সময় যারা এমন কাজ করতে পারে তারা মানুষ হতে পারে না। মাত্র কয়েকজনের কারণে আনারস চাষি ও প্রকৃত ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রশাসনের কাছে আমাদের অনুরোধ এসব যারা করে তাদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসবেন। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে রাঙ্গামাটিতে মোট ২১৫০ হেক্টর জমিতে আনারস চাষাবাদ হয়েছে। যার বেশির ভাগই নানিয়ারচর উপজেলায়। দীর্ঘ বছর ধরে এ উপজেলায় সবচেয়ে চাষাবাদ ও ভালো ফলন হওয়ায় নানিয়ারচরকে ‘আনারসের রাজধানী’ বলা হয়ে থাকে।