বিপদসীমার উপরে বরিশালের ৫ নদীর পানি

ঘূর্ণিঝড় আমফানের প্রভাবে বিপদ সীমার বাইরে চলে যাচ্ছে বরিশালের বিভিন্ন নদ-নদীর পারি। এরই মধ্যে কীর্তনখোলা, বুড়িশ্বর ও তেতুলিয়া, সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তবে বুড়িশ্বরের একাংশ এবং মড়াই, মধুমতি, বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর পানি বিপদসীমার বাইরে গেলেও বর্তমান তা স্বাভাবিক অবস্থায় প্রবাহিত হচ্ছে।

বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের পারি বিজ্ঞান বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এসও) মাসুম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সকালে বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন বুড়িশ্বর নদীতে জোয়ার ছিলো। এ কারণে তৎসংলগ্ন পটুয়াখালীর মীর্জাগঞ্জ, বরগুনার আমতলী, টাথরঘাটা ও বরগুনা সদর উপজেলার নদ নদীতে পানির স্তর বেড়ে বিপদ সিমার বাইরে চলে যায়।

বিশেষ করে পাথরঘাটা, আমতলীতে সাত সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বুড়িশ্বর ও পাথরঘাটার অপর অংশে বিষখালী নদীর পানি অতি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় পাথরঘাটার বিশখালী নদীর স্তর ছিলো ৩ দশমিক ১০ মিলিমিটার। যেখানে বিপদসীমা ছিলো ২ দশমিক ৮৫ মিলিমিটার।


এদিকে দক্ষিণাঞ্চলের নদীর পানি কমে যাওয়া বেড়েছে কীর্তনখোলা, সিরমা, মেঘনা, তেতুলিয়ার পারি। বর্তমানে কীর্তনখোলা নদীর পানি স্বাভাবিকের তুলনায় ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অর্থাৎ কীর্তনখোলায় বর্তমান পানির স্তর ২ দশমিক ৫৭ মিটার। আর বিপদসীমার স্তর ২দশমিক ৫৫ মিটার।

এছাড়া বুড়িশ্বর নদীর বরিশালের বাকেরগঞ্জ অংশে বিপদসীমার উচ্চতা ২ দশমিক ৪০ মিটার। বর্তমানে ৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বর্তমানে বুড়িশ্বর নদীতে পানির স্তর ২ দশমিক ৪৩ মিটার।

এছাড়া ভোলা জেলার সুরমা-মেঘনা নদীর বিপদসীমা ৩ দশমিক ৪১। বর্তমানে তা বেড়ে ৩ দশমিক ৭২ মিটার হয়েছে। তেতুলিয়া নদীর পানি বিপদসীমা ছুঁয়েছে। বর্তমানে এ নদীতে পানির স্তর ২ দশমিক ৯০ মিটার। নদীর বিদপসীমাও এটি।

তাছাড়া গড়াই, মধুমতী ও বলেশ্বরে পানি বিপদ বিপদসীমা অতিক্রম করে ২ দশমিক ৭০ মিটার হয়েছিল। যা দুই সেন্টিমিটার বেশি। বর্তমানে তা কমে ২ দশমিক ৪০ মিটারে নেমেছে।

এছাড়া ঝালকাঠির বিষখালী, পিরোজপুরের কচা, পটুয়াখালীর পায়রা, বরিশালের সন্ধ্যা, সুগন্ধা, খয়রাবাদ নদীর পানি এখনো বিপদসীমার নীচে রয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের পারি বিজ্ঞান বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এসও) মাসুম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, এক দিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব, অন্যদিকে সামনে আমাবস্যা। দুটি কারণে নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সন্ধ্যা ৬টার পরে বরিশালের নদীগুলোর পানি আমর বৃদ্ধি পাবার আশঙ্কা করছেন তিনি।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //