চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহারাজপুরে রোকেয়া বেগমকে (৬৭) গলা কেটে হত্যা ঘটনায় সৎ মেয়ের স্বামীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাঁসুয়াটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জমিজমার দখল নিতেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে জিজ্ঞাসবাদে স্বীকার করেছেন গ্রেফতারকৃত সেকান্দার আলী। এই হত্যাকাণ্ডে ৫০ হাজার টাকায় চারজন কিলারকে ভাড়া করা হয়। এদের মধ্যে বড় সাহেব ও বারোতেরো নামের দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বুধবার (১৭ জুন) বিকেলে জেলা পুলিশ অফিসে প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান পুলিশ সুপার এইচ এম আব্দুর রাকিব।
এর আগে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন সেকান্দার আলী।
পুলিশ সুপার এইচএম আব্দুর রাকিব ব্রিফিংয়ে জানান, গত ১৩ জুন সকালে সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের পূর্বটিকরা গ্রামের নিজ ঘর থেকে রোকেয়া বেগমের গলাকাটা ও বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইশবাল হোছাইনের নেতৃত্বে ক্লু-লেস এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নামেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি অপারেশন মিন্টু রহমান। তারা গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রোকেয়ার সৎ মেয়ের স্বামী পশ্চিম টিকরা গ্রামের মৃত লুথু মন্ডলের ছেলে সেকান্দার আলীকে গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে রোকেয়া বেগম হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন তিনি।
পুলিশ সুপার আরো জানান, রোকেয়া বেগমের সম্পত্তির লোভে তিনি ও রোকেয়ার আরো তিন মেয়ের স্বামী সাড়ে ১২ হাজার করে টাকা চাঁদা উঠিয়ে ৪ জন কিলারকে ভাড়া করেন। কিলারদের সাথে হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন সেকান্দার আলী। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, কিলার গ্রুপের বড়সাহেব ও বারোতেরো নামে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh