কুমিল্লার বরুড়ায় পল্লী বিদ্যুতের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

কুমিল্লার বরুড়া উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিদুৎ বিভ্রাট, দীর্ঘ সময় বিনা ঘোষণায় বিদুৎ না থাকা, অতিরিক্ত বিল, বিল জমা দেওয়ার পর পরের মাসে সে বিল আবার যুক্ত করা, গ্রাহক হয়রানি, প্রদত্ত অভিযোগ প্রদানের মোবাইল নম্বর রিসিভ না করাসহ বহু অভিযোগ রয়েছে। 

বরুড়ার চিতড্ডা ইউনিয়নের গ্রাহক মো. আবু তাহের জানান, পূর্ব ঘোষণা ছাড়া ৬-৮ ঘণ্টা কারেন্ট থাকে না। ২৪ ঘণ্টায় ৬-১০ বার কারেন্ট যায়। অভিযোগ কেন্দ্রে কল দিলে রিসিভ করে না। আমার এপ্রিল, মে মাসের বিদুৎ বিল দেয়া আছে, জুন মাসে জরিমানাসসহ বকেয়া লিখা রয়েছে। 

একই অভিযোগ করেন গৃহিণী ঝর্ণা বেগম।  তিনি বলেন, বিল দিয়েছি। গ্রাহক কপি ব্যাংকের সীলসহ সংগ্রহ করা আছে। জুনে গত তিন মাস বকেয়া লেখা। আবার মার্চ মাসে ২৮১ টাকা, এপ্রিল মাসে ৩৪৪ টাকা, মে মাসে একই মিটারের বিল ১৪৮৪ টাকা। বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতি আস্থা নষ্ট হয়ে গেছে। প্রতি মাসে হয়রানির শিকার হতে হয়। তবে কিছু করার নাই, কারেন্ট ছাড়া একদিনও চলে না। 

পল্লী বিদুৎ সমিতি ১ জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অতিরিক্ত বিল নিয়ে যারা অভিযোগ করছেন তাদের বিষয়টি আমরা যাচাই বাচাই করে বিবেচনা করি। বিল দেয়ার পরও যাদের চলতি মাসের সাথে বিল উঠে গেছে, তারা গতমাসের ব্যাংক রশিদ প্রমাণ হিসাবে দেখালে বিল দিতে হবে না। লং টাইম বিদুৎ না থাকলে মাইকিং করা হয় একদিন আগে হয়তো চিতড্ডা ইউনিয়নে মাইক যাইনি। 

তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা দেখবো। হেল্প নম্বরে ২৪ ঘণ্টা কল দেয়া যায়, যারা দায়িত্বে আছেন তাদের বিরুদ্ধে যাথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //