উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধীকে মারধরের অভিযোগ

রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারেক সরকারের বিরুদ্ধে শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে মারধর এবং কম দামে জমি বিক্রি করতে চাপ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকারকে আসামি করে রাঙ্গামাটি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী মোসলেম উদ্দীন। 

মামলা দায়েরের পরদিন মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে রাঙ্গামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বারেক সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন মসলেম উদ্দীন। তবে মোসলেম উদ্দীনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আব্দুল বারেক সরকার।

সংবাদ সম্মেলনে মোসলেম উদ্দীন অভিযোগ করেন, গত ১৭ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি  ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকার লংগদু আওয়ামী লীগ অফিসে ডেকে নিয়ে আমার নিজ নামে রেকর্ডকৃত এক একর পয়ত্রিশ শতক জায়গা জোরপূর্বক ৬ লাখ টাকার বিক্রয় করতে বলেন। আমি রাজি না হওয়ায় অফিসেই আমাকে মারধর করেন বারেক সরকার। আমি একজন প্রতিবন্ধী মানুষ, আমার সাত কন্যা সন্তান আছে। তাদের জন্য এই জায়গায়ই আমার একমাত্র সম্বল। কিন্তু বারেক সরকার আমার প্রতিবেশি রুহুল আমিনের পক্ষ নিয়ে এই জায়গা তাকে দিতে ষড়যন্ত্র করছে।

মোসলেম উদ্দীনের দাবি, বারেক সরকার আমাকে মারার সময় বার বার বলেছেন, মারপিট সবেমাত্র শুরু। জায়গা না বিক্রি করলে তোমার কপালে আরো শনি আছে। তিনি আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়েছেন, ফলে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি বাড়িতে থাকতে পারছি না। সব সময় আতঙ্কে থাকি, কখন আবার আমার ওপর চড়াও হয়। আমাকে মারার পর আমি লংগদু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে সাহস পাইনি, আহত অবস্থা রাঙ্গামাটি এসে জেনারেল হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিয়েছি। বারেক সরকার লংগদু উপজেলা বিএনপি সভাপতি মো. নাছির উদ্দিনের পক্ষ নিয়ে আমাকে ভিটেহারা করতে পাঁয়তারা করছেন। আমার প্রতিবেশি রুহুল আমিন নাছির উদ্দিনের ভগ্নিপতি। এরা সবাই এক হয়ে আমার অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে কোটি টাকার জায়গা নামমাত্র মূল্য দিয়ে দখল করতে চাচ্ছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকার বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। উপজেলার চেয়ারম্যান হিসেবে আমি জমির বিষয়টি সালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করেছি। বাদী আওয়ামী লীগের কর্মী ও বিবাদী বিএনপির লোক হলেও আমি দল না দেখে যেটা ন্যায্য, সেটা করেছি। কিন্তু আমার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম ও কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুল হক ষড়যন্ত্র করে ওদের দিয়ে এসব অভিযোগ করিয়েছেন।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //