শেরপুরের গারো পাহাড়ে বন্য হাতির মৃত্যু

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী  কাটাবাড়ী এলাকার গহীন জঙ্গলে বয়স্ক ও অসুস্থ একটি বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে লাকড়ি সংগ্রহে গিয়ে এলাকাবাসী কাটাবাড়ি এলাকায় হাতিটিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। ইতিমধ্যে জনপ্রতিনিধি, বনবিভাগ ও বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বনবিভাগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ৬ সেপ্টেম্বর রবিবার রাত ১১টার দিকে ৩০ থেকে ৪০টি বন্য হাতির পাল ভারত থেকে নেমে এসে নালিতাবাড়ি নাকুগাঁও-ডালুকোনা গ্রামে হানা দেয়। এ সময় এলাকাবাসী হাতির উপস্থিতি টের পেয়ে মশাল জ্বালিয়ে ঢাকঢোল বাজিয়ে হাতির পালকে প্রতিরোধ করেন।

পরে রাত ১টার দিকে হাতির পাল কাটাবাড়ি এলাকায় অবস্থান করে। এসময় খাদ্যের সন্ধানে হাতির পাল লোকালয়ে নামতে চাইলে গ্রামবাসী রাত জেগে হাতি পাহারায় থাকেন। শেষ রাতে প্রচণ্ড বৃষ্টিতে হাতির পাল ভারতের সীমান্তের জঙ্গলে দিকে ফিরে যায়।

পরে সোমবার সকালে গ্রামবাসী লাকড়ি সংগ্রহে পাহাড়ে গেলে কাটাবাড়ি এলাকায় একটি বয়স্ক হাতিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। পরে জনপ্রতিনিধি, বনবিভাগ ও বিজিবিকে বিষয়টি অবগত করা হয়।

নয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ আলী দেওয়ান বলেন, কাটাবাড়ী এলাকার আজ একটি বয়স্ক হাতিকে মৃত অবস্থায় এলাকাবাসী দেখতে পান। পরে খবর দিলে আমি মৃত হাতিটি দেখতে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছে গতরাতে হাতির পাল ফিরে যাওয়ার সময় অসুস্থতা জনিত কারণে বয়স্ক এই হাতিটি যেতে পারেনি। অসুস্থজনিত কারণে হাতিটি মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বনবিভাগের মধুটিলা ইকোপার্কের রেঞ্জার মো. আবদুল করিম বলেন, হাতিটির শরীরের বাঁশ পাশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে হাতিটি বয়স্ক ও অসুস্থ ছিলো। সেই কারণে মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বন্যপ্রাণি কার্যালয়, বনবিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের পর হাতিটির মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তবে এলাকায় প্রচণ্ড মুষলধারে বৃষ্টি থাকায় এখনো কেউ ঘটনাস্থলে যেতে পারছেন না।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //