শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে দুর্ভোগের শিকার দক্ষিণাঞ্চলবাসী

নাব্যতা সংকটের কবলে পড়ে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে শনিবার পর্যন্ত ১৬ দিনের মধ্যে ১২ দিন ফেরি চলাচল বন্ধ ছিলো। গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪ দিন ফেরি সার্ভিস চালু থাকলেও তা ছিলো পরীক্ষামূলক ও দায় এড়ানোর কৌশল।

শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে সে রকমই সীমিত আকারে দিনের বেলায় ছোট আকারের ৪টি ফেরি চলছে।

অন্যদিকে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে চ্যানেল বিপর্যয়ে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার হাজার হাজার যাত্রী ও বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও শ্রমিকরা।

ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাদাগাদি করে লঞ্চ, স্পিডবোট ও ট্রলারেও অনেকের পদ্মা পাড়ি দিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে রওনা হয়ে যাচ্ছেন। স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও শারীরিক দূরত্বের কোন বালাই নেই। সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব অবহেলা ও যাত্রীদের অসচেতনতা এর জন্য দায়ী বলে ঘাট সূত্রে জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নাব্যতা সংকটের কারণে গত ৪ মাস ধরে ফেরি চলাচল ব্যাহত হলেও গত ২৯ আগস্ট থেকে দিনে ফেরি সচল থাকলেও রাতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এর মধ্যে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে পুরোপুরিভাবে বন্ধ হয়ে যায় এবং নৌ-চ্যানেলের অবস্থা কোন পর্যায়ে আছে তা বুঝতে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষামূলক সীমিত আকারে চালু করে ফেরি চলাচল। দুই দিন পর ১৩ সেপ্টেম্বর আবারো বন্ধ হয়ে যায় এবং ১৫ সেপ্টেম্বর নৌ সচিবের নির্দেশে ফেরি চালু করা হয় মাত্র ১টি। তাও ২৮ কিলোমিটার পথ ঘুরে পালেরচর চ্যানেল দিয়ে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা সময় ব্যয় করে গন্তব্যে পৌঁছে। পরদিনও ফেরি চলে একটি। ১৭ সেপ্টেম্বর আবারো বন্ধ হয়ে যায় ফেরি চলাচল। ১৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে আবারো সীমিত আকারে ফেরি চালু করে বিআইডব্লিউটিসি।

বিআইডব্লিউটিসির এজিএম মো. শফিকুল ইসলাম জানান, এই রুটে প্রতিদিন ৪ হাজারেরও বেশি যান পার হতো। ফেরি চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ায় ওই পরিমাণ যান পারাপার সম্ভব হয়নি। শুক্রবার বিকেল থেকে ফেরি চলাচল চালু করলেও এখন সচল রয়েছে ৪টি ফেরি। আর ৯টি ফেরি অলস পড়ে আছে। ঘাটের অদূরে নোঙরে রাখা হয়েছে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //