কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ধরলার পানি সামান্য হ্রাস পেয়ে সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা অববাহিকার নিচু এলাকার ঘর-বাড়ি থেকে পানি নেমে না যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে মানুষজন। পানির নীচে তলিয়ে থাকায় নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে এসব এলাকার আমন ও অন্যান্য ফসলের ক্ষেত।
জেলার উলিপুর, কুড়িগ্রাম সদর, রৌমারী, রাজিবপুর রাজরহাট ও চিলমারী উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও ধরলার ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ঘর-বাড়ি হারিয়ে মানবেতর দিন পাড় করছে ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষজন।
সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মইনুদ্দিন ভোলা জানান, নদীর তীব্র স্রোতে যাত্রাপুরের গারুহারা গ্রামে গত দুইদিন ধরে ভাঙন শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত ১০টি বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন অব্যাহত থাকলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন ঠেকানোর কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানায়, উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে পানি দীর্ঘস্থায়ী হবে না। ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমার নদের ২০টিরও বেশি পয়েন্টে ভাঙন শুরু হয়েছে। সাময়িকভাবে ভাঙন ঠেকানোর কাজ করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : কুড়িগ্রামের বন্যা ব্রহ্মপুত্র বন্যা
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh