বাগেরহাটে ২ কেজি ৯’শ গ্রাম ওজনের ইলিশ

বঙ্গোপসাগরে জেলের জালে ধরা পড়েছে ২ কেজি ৯০০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ। 

মাছটি আজ মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) সকালে বাগেরহাটের সামুদ্রিক মাছ ক্রয়-বিক্রয়ের পাইকারি আড়ত কেবি বাজারে আবেদ আলীর আড়তে ইলিশটি চড়া দামে বিক্রি হয়েছে। বাগেরহাট শহরের বাসিন্দা শ্রমিক লীগ নেতা রেজাউর রহমান মন্টু ৫ হাজার ৩০০ টাকায় মাছটি কিনেছেন।

জেলেরা বলেন, এ বছর প্রথম থেকেই ইলিশের সাইজ মোটামুটি ভাল ছিল। এক কেজি থেকে এক কেজি ৫‘শ গ্রাম ওজনের মাছ আমরা সচারচর পেয়ে থাকি। কিন্তু দুই কেজির উপরের মাছ খুবই কম পাওয়া যায়। আর দুই কেজি ৯’শ গ্রাম ওজনের যে মাছটি আমরা পেয়েছি- এর আগে এত বড় মাছ আগে কখনো পাইনি। 

মাছের ক্রেতা মন্টু বলেন, কেবি বাজারে প্রায়ই আসি। আজকে দেখছিলাম একটি মাছ নিয়ে অনেকের ভিড়। কাছে এসে দেখলাম অনেক বড় একটি ইলিশ। অনেকেই দাম বলেছে, আমি শেষ পর্যন্ত ৫ হাজার ৩০০ টাকায় কিনেছি। তারপরে মেপে দেখি মাছের ওজন ২ কেজি ৯০০ গ্রাম। এত বড় মাছ গেল ২০ বছরে আমি দেখিনি।


এদিকে ইলিশ আহরণ ও বিপনন বন্ধের শেষ দিনে কেবি বাজারে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। আজ ফজরের পর থেকেই ক্রেতা-বিক্রেতা ও জেলেদের ভিড়ে সরগরম ছিল কেবি বাজার। ইলিশের দিকে আগ্রহ ছিল সবার বেশি। মাছের পরিমাণ কম থাকলেও বিক্রি হচ্ছিল চড়া দামে।

তবে কাঙ্ক্ষিত মাছ না পাওয়ায় জেলেদের মুখে তেমন হাসি ছিল না। বেশিরভাগ ট্রলার মালিককেই লোকসান গুনতে হলে এই সিজনে এমনটি দাবি করেছেন অনেক জেলে।

সাগর থেকে মাছ ধরে আসা লতিফ, নজরুল, জাহিদসহ কয়েকজন জেলে বলেন, এ বছর ইলিশের মৌসুম শুরু হওয়ার পরে প্রথম কিছু দিন মাছ বেশি পেয়েছি। তবে শেষদিকে আমরা বড় মাছ পেলেও, পরিমানে অনেক কম পেয়েছি। কাল থেকে ২২ দিন আমরা মাছ ধরতে পারবো না। এ সময়টা খুব কষ্টে যাবে আমাদের। কারণ এবার ট্রলার মালিকরা লোকসানে পড়েছেন। যার ফলে এই সময়ে আমরা মহাজনের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাব না। আর সরকার ঘোষিত সহায়তা পাব কিনা তাও বলতে পারি না।

মা ইলিশ রক্ষার জন্য সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ আহরণ ও বিপনন বন্ধ থাকবে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //