মেলান্দহে নিখোঁজ অটোরিকশা চালকের মৃতদেহ উদ্ধার

জামালপুরের মেলান্দহে নিখোঁজের ৮দিন পর অটোরিকশা চালক আব্দুল মালেকের (৩০) অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৯ অক্টোবর) ভোর ৬টা থেকে পুলিশ-ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় জনতার যৌথ তল্লাশি শেষে দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার নলকুড়ি ব্রিজ সংলগ্ন জলাশয়ে লাশটি সনাক্ত হয়।

এ ঘটনায় জড়িত থাকায় মেলান্দহের নলকুড়ি গ্রামের কানু শেখের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩২) এবং দেওয়ানগঞ্জের আমজাদ হোসেনকে (৩৬) আটক করেছে পুলিশ। এলাকাবাসী জানিয়েছে, আটককৃত শফিকুল পেশাদার চোর ও জুয়াড়ি।

এদিকে আব্দুল মালেকের মৃতদেহ উদ্ধারের পর বিক্ষুব্ধ জনতা ও রিকশা শ্রমিকরা দুপুর ২টায় খুনিদের ফাঁসির দাবিতে মেলান্দহ বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত সোমবার (১২ অক্টোবর) নয়ানগর ইউনিয়নের বুরুঙ্গা গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে অটোরিকশা চালক আব্দুল মালেক (৩০) নিখোঁজ হন। এসময় তার অটোরিকশাটিও হাওয়া হয়ে যায়। এরপর তার স্ত্রী রিতা বেগম (২৪) মেলান্দহ থানায় জিডি করেন।

শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) নাংলা ইউনিয়নের নলকুড়ি গ্রামের কানু শেখের ছেলে শফিকুল ইসলামের (৩২) বাড়িতে অটোরিকশাটির সন্ধান পাওয়া যায়। খবর পেয়ে মেলান্দহ থানা পুলিশ শফিকুলের বাড়িতে হানা দিয়ে হারিয়ে যাওয়া রিকশাসহ শফিকুলকে আটক করে। আটককৃত শফিকুলের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে দেওয়ানগঞ্জের আমজাদ হোসেনকে (৩৬) আটকসহ সন্দেহভাজন কয়েকজনকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

এর আগে শফিকুলের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার (১৭ অক্টোবর) আটককৃত শফিকুলের বাড়ির জলাশয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নিখোঁজ আব্দুল মালেকের মৃতদেহ উদ্ধারে তৎপরতা চালায়। দ্বিতীয় অভিযানে ওই জলাশয় থেকেই তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। মৃতদেহে পেট কাটাসহ বিভিন্ন স্থানে ক্ষত দেখা যায়।

মেলান্দহ থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল ইসলাম খান জানান, নিখোঁজ আব্দুল মালেকের মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। শফিকুল পুলিশকে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছে। এজন্য তথ্যের যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //