‘চিকিৎসকের ভুলে’ নবজাতকের মৃত্যু, তদন্ত কমিটি গঠন

টাঙ্গাইলের ব্যুরো হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. নাসরিন সুলতানা রত্নার ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ১৬ নভেম্বর (সোমবার) তদন্ত কমিটির সম্মুখে অভিযুক্ত সবার উপস্থিতে সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রামপদ রায়।

সাংবাদিক নওশাদ রানা সানভীর অভিযোগ, গত ২০ অক্টোবর তার স্ত্রীকে প্রযুক্তির মাধ্যমে নরমাল ডেলিভারি করানোর সময় চিকিৎসকের সিদ্ধান্তের ভুলে গলায় কট পড়ে জন্ম নেয়া শিশুটির শ্বাসনালী বন্ধ হয়ে যায়। তাৎক্ষণিক টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে স্ক্যানোতে রাখা হয়। ডাক্তারি পর্যবেক্ষণে শিশুটির অবস্থা খারাপ মনে হওয়ায় ঢাকা শিশু হাসপাতালে রেফার্ড করে দেয়। পিআইসিইউ ও লাইফসাপোর্টে রাখার পর ৮ দিনের মাথায় মৃত্যু হয় শিশুটির।

নওশাদ রানা সানভীর দাবি, ডা. রত্নার পরামর্শেই আমি চিকিৎসার জন্য প্রস্তুতি নেই। চিকিৎসার আগে একটি অঙ্গীকার নামায় আমার স্বাক্ষর নেয়া হয়। সেখানে লেখা ছিলো নরমাল ডেলিভারি করা হবে। যদি ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয় তাহলে সিজার করা হবে। নরমাল ডেলিভারি করার জন্য ব্যথা উঠানোর প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু মধ্যরাতে ব্যথা উঠলে ডাক্তারকে জানানোর পরও ডাক্তার আসেনি। এরইমধ্যে একাধিকবার মায়ের পানি ভাঙে এবং বাচ্চার অবস্থান পরিবর্তন হয়ে যায়। তারপর ডাক্তারকে জানানোর পরও তিনি তার সময় অনুযায়ী হাসপাতালে উপস্থিত হয়। পরবর্তীতে আমার নবজাতকের এই অবস্থা সৃষ্টি হয়। ডাক্তার পরে আমাকে জানান, আলট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্ট ভুল আসার কারণেই এ সমস্যা হয়েছে।


এ ব্যাপারে আলট্রাসনোগ্রাফি করা ডাক্তার মনোরঞ্জন বসাকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আমি গত ২০ অক্টোবর সাড়ে ৫টায় যখন আলট্রাসনো করি তখন বাচ্চা ও বাচ্চার মায়ের অবস্থা স্বাভাবিক ছিলো এবং আমি সঠিক রিপোর্ট প্রদান করি। গাইনি ডাক্তার আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছেন, তা ঠিক না। গর্ভাবস্থায় যখন রোগীর পানি ভাঙে, এভাবে দীর্ঘ সময় পার হলে বাচ্চা ঘুরে যায়। গাইনি ডাক্তার যখন জরায়ুতে হাত দেয় তখন স্বাভাবিকভাবেই সমস্যা বুঝার কথা। এখানে আমার ব্যর্থতা নেই।’

অভিযোগ অস্বীকার করে ডা. নাসরিন সুলতানা রত্না দাবি করেন, আমি ডাক্তার হিসেবে যথেষ্ট করেছি। পূর্ব পরিচিত হওয়ার কারণে নির্ভুল চিকিৎসার জন্য মেডিকেল টিম গঠন করেছিলাম। ডেলিভারিও সঠিক নিয়মে হয়েছে। অবস্থা একটু খারাপ হওয়ার কারণে পরামর্শ দেই সদরে নেয়ার জন্য। তারপর শুনি বাচ্চার অবস্থা খুব খারাপ হয়েছে। বাচ্চার এরকম অবস্থা হওয়ায় আমার কোন ত্রুটি ছিলো না।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //