করোনা শনাক্তে সিলেটে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু

সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে পরীক্ষামূলকভাবে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে করোনাভাইরাস পরীক্ষা চলছে।

চলতি মাসের শুরুর দিকে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) থেকে পাঠানো কিটের মাধ্যমে এ পরীক্ষা করা হচ্ছে।

শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল সূত্র জানায়, এই হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের ল্যাব টেকনোলজিস্ট ও এক কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে অ্যান্টিজেন কিটের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকজন রোগীর নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে হাসপাতালটিতে ৫০টি অ্যান্টিজেন পরীক্ষার কিট সরবরাহ করা হয়। এগুলোর মধ্যে প্রায় ২০টি কিট ইতোমধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে। এর ১৯টিতে করোনার নমুনা পরীক্ষায় আরটি–পিসিআর ল্যাবের পরীক্ষার ফলাফলের সাথে সামঞ্জস্য রয়েছে। একটিতে অ্যান্টিজেন কিটের পরীক্ষায় ‘পজেটিভ’ এলেও আরটি পিসিআরে ‘নেগেটিভ’ ফল এসেছে।

অ্যান্টিজেন পরীক্ষা তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসা কর্মকর্তা নওশাদ হোসেন বলেন, এখনো পরীক্ষামূলকভাবে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা চলছে। আমরা প্রতি সপ্তাহে অ্যান্টিজেন ও আরটি–পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষার ফলাফল আইইডিসিআরে পাঠাই। পরে সারাদেশের পরীক্ষার ফলাফল যাচাই করার পর অ্যান্টিজেনের অনুমোদন আসতে পারে। অ্যান্টিজেন দিয়ে পরীক্ষার অনুমোদন দেয়া হলে কম সময়ের মধ্যে করোনা শনাক্ত করা সম্ভব হবে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত মার্চ থেকে সিলেটে করোনার উপসর্গ থাকা ও এ ভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য ১০০ শয্যার এ হাসপাতাল নির্ধারণ করা হয়। প্রথম দিকে পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠানো হতো। ২৮ এপ্রিল থেকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে আরটি–পিসিআর ল্যাব বসিয়ে করোনার নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়। তবে তাতে সময় কিছুটা বেশি লাগে।

সম্প্রতি বিশ্বের অনেক দেশে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন কিটের মাধ্যমে কম সময়ে করোনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের পাঁচটি হাসপাতালকে এ কিট সরকারিভাবে সরবরাহ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে অ্যান্টিজেন কিটের সাথে পিসিআর ল্যাবের পরীক্ষার ফলাফল তুলনা করা হচ্ছে। দুটি পরীক্ষার ফলাফলে সামঞ্জস্য থাকলে অ্যান্টিজেন কিট পুরোদমে চালুর কথা রয়েছে। অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে পরীক্ষা সফল হওয়ার পর অ্যান্টিবডি কিটের পরীক্ষা করা হবে। এতে আক্রান্ত ব্যক্তি কিংবা সুস্থ ব্যক্তির অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা হবে।

এ বিষয়ে শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) জন্মজয় দত্ত বলেন, গত অক্টোবরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মীরজাদী সেব্রিনা হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন। সে সময় হাসপাতালের পক্ষ থেকে আমরা অ্যান্টিজেন কিট দিয়ে পরীক্ষা শুরুর কথা বলেছিলাম। ওই মাসের শেষের দিকে আমাদের ৫০টি কিট সরবরাহ করা হয়। ওই কিটগুলো দিয়ে আমরা পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করেছি। অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ফলাফল আমরা প্রকাশ করছি না। সেগুলো আরটি–পিসিআর ল্যাবের ফলাফলের সাথে ‘কম্পেয়ার’ করা হচ্ছে। অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে পরীক্ষার ফলাফল দ্রুত পাওয়া যায়। নমুনা দেয়ার ১০ থেকে ১৫ মিনিটে ফলাফল পাওয়া যায়। -ইউএনবি

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //