চিনিকল চালুর দাবিতে পাবনায় আখচাষিদের বিক্ষোভ সমাবেশ

পাবনা চিনিকলসহ রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ছয়টি চিনিকল চালুর পাঁচদফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন জেলার আখচাষিরা।

আজ মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে চিনিকল চত্ত্বরে এ সমাবেশ হয়। 

আখচাষী সমাবেশে বক্তারা চলতি মৌসুমের আখ মাড়াইয়ের নির্ধারিত ঘোষিত দিন ২৫ ডিসেম্বরেই আখ মাড়াইয়ের ঘোষণা দেয়াসহ পাবনা সুগার মিল চালু রাখার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।

বক্তারা বলেন, উৎপাদন বন্ধ থাকায় বিপুল পরিমাণ আখ জমিতে থেকে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আখ মাড়াই না হলে ক্ষতির মুখে পড়বে এখানকার চাষিরা। পাশাপাশি চিনিকলের ছয় শতাধিক শ্রমিক কর্মচারী দিশেহারা হয়েছেন। তাই সরকারকে চিনিকল চালু করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান। দাবি আদায় না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি দেয়া হবে।

দাবিগুলো হলো- অবিলম্বে পাবনা চিনিকল চালু করা, পাবনা সুগার মিলের আখ অন্য কোনো মিলে সরবরাহ না করা, স্ব স্ব মিলে আখ মাড়াই করা, বিগত মাড়ায় মৌসুমের আখের টাকা ও শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা, শুধু ছয়টি নয়, সবকটি মিল চালু রেখে একটি একটি করে আধুনিকায়ন করা, মাথাভারী প্রশাসন কাটছাট করা।

‘পাবনা চিনি কল আখচাষি সমিতি’ ব্যানারে এই বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ও স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ চিনিকল আখচাষি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী বাদশা। আরো বক্তব্য দেন ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নায়েব আলী বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মকলেছুর রহমান মিন্টু, সহসভাপতি ও শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ রশিদুল্লাহ, দাশুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান বকুল সরদার, কৃষক লীগ উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মুরাদ মালিথা, পাবনা চিনিকল ওয়াকার্স ইউনিয়নের সভাপতি সাজেদুল ইসলাম শাহীন, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান উজ্জ্বল, আখচাষি নজরুল ইসলাম প্রমুখ। 

পরে চিনিকল চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে স্থানীয় সড়ক প্রদক্ষিণ করে আখচাষিরা। সেখান থেকে পাবনা-ঈশ্বরদী মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করে তারা। এ সময় পুলিশ তাদের সরিয়ে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।