দেলদুয়ারের শাল চাদরের জনপ্রিয়তা বাড়ছে

টাঙ্গাইলে তাঁতের শাড়ির পর জনপ্রিয় হচ্ছে দেলদুয়ারের তৈরি শাল চাদর। নিপুণ কারুকার্য আর আকর্ষণীয় নকশার কারণে শাল চাদর প্রায় সব বয়সের নারী ও পুরুষের পছন্দ।

দুই-আড়াই হাত প্রস্থ ও চার-পাঁচ হাত দৈর্ঘ্যরে চাদর তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান কারিগররা। উপজেলার আবাদপুর ও এলাসিন গ্রামে সবচেয়ে বেশি শাল চাদর তৈরি হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ অঞ্চলের প্রায় দেড়শো’র বেশি পরিবার শাল তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছে।

তাঁত মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সারাবছর একইভাবে শাল চাদর তৈরি করেও শীত মৌসুমে ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করতে পারছেন না তারা। এসব তাঁতে দু’সুতি, পাইর, নয়নতারা ও বহুরূপিসহ নানা ডিজাইনের শাল তৈরি হচ্ছে।

আবাদপুর গ্রামের তাঁত মালিক শহর আলী ও মোতালেব দুই ভাই জানান, প্রতিদিন প্রতিটি তাঁতে ৩ থেকে ৫টি শাল তৈরি করা যায়। তাদের বাড়িতে বসানো ১১টি মেশিনে এই শাল চাদর বোনেন। ৭টি ডিজাইন নিয়ে কাজ করছেন তারা। এই শাল চাদর তৈরি করতে একদিন শ্রমিককে শাল প্রতি মজুরি দেওয়া হয় প্রায় ৮০ থেকে ১২০ টাকা। তৈরি করা শাল পাইকারদের কাছে বিক্রি করা হয়।

আরেক তাঁত মালিক আব্দুস ছালাম জানান, বর্তমানে তিনি ৩ মেশিন দিয়ে শাল চাদর তৈরি করছেন। ডিজাইনের ভিত্তিতে মহাজনদের কাছ থেকে শালপ্রতি ৪০ থেকে ৮০টা মজুরি পায়। বছরে প্রতি তাঁতে শাল তৈরি হয় ১৫০০ থেকে ২৫০০টি। শাল তৈরিতে পুরুষের পাশাপাশি মহিলারা চরকার সুতা উঠানের কাজ করে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

বিষয় : টাঙ্গাইল

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //