শিমচাষিদের সুদিন ফিরে এসেছে

হবিগঞ্জে শিমের বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো উৎপাদন এবং লাভ পাওয়ায় চাষিদের হাস্যোজ্জ্বল মুখ দেখা গেছে। শিমের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ও লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছরই বাড়ছে শিমের আবাদ। জেলায় উৎপাদিত শিম শুধু দেশেই নয়, প্রতিবেশী দেশ ভারতে ও মধ্যপ্রাচ্যে রফতানি হচ্ছে। মাত্র ৫ হাজার টাকা খরচ করে একেকজন কৃষক মৌসুমে আয় করছেন অন্তত ১২ হাজার টাকা। ফলে এখানকার কৃষক খুবই খুশি।

কৃষকরা জানান, বছরের মে-জুন মাসে শিমের আগাম চাষ শুরু হয়। এ সময় শিমের কেজি ১৪০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়। এদিকে সাধারণত মৌসুমভিত্তিক আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে শিমের আবাদ শুরু হয়। আবার শুরুর ৯০ দিনের মধ্যে ফলন আসে এবং তা বাজারজাত করা হয়। এ উৎপাদন বিরামহীনভাবে মার্চ মাসে গিয়ে শেষ হয়। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, তারা কৃষকদের এই সাফল্যে যথাসময়ে সঠিক পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করছেন।

এ অঞ্চলের চাষি সিরাজ মিয়া বলেন, এ বছর শিমের বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এই বাম্পার ফলন। এতে করে চাষিদের মাঝে বিপুল উৎসাহ দেখা দিয়েছে। পূর্বে এসব জমিতে ধান চাষ হতো। ভালো ফলন পাওয়ায় এখন চাষিরা শিম চাষে মনযোগ দিয়েছেন।

দিগম্বর বাজার এলাকার পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, চাষিরা এখন শিমের জমিতে শ্রমিক নিয়ে পরিচর্যায় ব্যস্ত। আবার কেউ ব্যস্ত শিম সংগ্রহে। যেদিক চোখ যায়, সেদিকেই শিম বাগান। যেন চা-বাগানের ন্যায় এখানে শিম বাগান তৈরি হয়েছে।

শিম চাষি জমির আলী জানান, ২০০০ সালে থেকে শিম চাষ শুরু করেছেন। এরপর থেকে তার শিমের ফলন ভালো এবং প্রতি বছর এর আবাদ বাড়ছে।

হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. তমিজ উদ্দিন খান বলেন, পাহাড় ও হাওর আর শহর নিয়ে হবিগঞ্জ জেলা। উৎপাদনসমৃদ্ধ এ জেলার মাটির নিচে রয়েছে গ্যাস। মাটির ওপরে বারোমাসই ফসল ফলে। মৌসুম অনুযায়ী ফসল চাষ করেন চাষিরা।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //