গুচ্ছগ্রাম বাণিজ্য

ভোলায় গুচ্ছগ্রাম নির্মাণের নামে চলছে রমরমা বাণিজ্য। লালমোহন উপজেলার সাবেক নির্বাহী অফিসারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হলেও থামছে না দুর্নীতি।

একদিকে দুর্গম চরাঞ্চলে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ঘরগুলো খালি পড়ে আছে, অন্যদিকে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় নিয়ম বহির্ভূতভাবে নকশা পরিবর্তন করে ব্যক্তিগত জমিতে ঘর নির্মাণ করে ইউপি চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট অনেকেই হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল পরিমাণ টাকা।

যদিও জেলা প্রশাসন বলছে, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিন্তু দৃশ্যমান তেমন কিছুই দেখা যাচ্ছে না। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, টাকা না দিতে পারায় বহু ভূমিহীন গৃহহীন মানুষ গুচ্ছগ্রামের ঘর পায়নি।

স্থানীয় বাসিন্দা জাহেদ দিদার বলেন, এখানে যারা টাকা দিতে পারে তারাই ঘর পায়, যারা টাকা দিতে পারে না তারা ঘর পায় না। চেয়ারম্যানের লোক না হলে, গরিব হলেও ঘর পাওয়া যায় না।

আঞ্জুরা বেগম জানান, আমার এবং ছেলের কাছে ঘর দেওয়ার জন্য ১০ হাজার টাকা করে চেয়েছিল চেয়ারম্যানের লোকজন, দিতে পারেনি বলে ঘর পাইনি।

এদিকে লালমোহনের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম গুচ্ছগ্রাম নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল হাসান রুমিসহ ৪ জনকে আসামি করে ভোলার স্পেশাল জজ আদালতে একটি মামলা করে। মামলাটি দুদক তদন্ত করছে।

ভোলা জেলার বিভিন্ন উপজেলার গুচ্ছগ্রাম দুর্নীতি নিয়ে গত বছর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রচারের পর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়, কিন্তু তদন্ত রিপোর্ট আলোর মুখ দেখেনি। তবে গুচ্ছগ্রাম নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে তার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //