কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২১, ০৫:৩৮ পিএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২১, ০৫:৪৭ পিএম
কক্সবাজারে ফরিদা বেগম নামে (৩৫) এক নারীর মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে রেখে পালিয়ে গেছেন তার প্রেমিক মোহাম্মদ নোমান।
সোমবার (১৫ মার্চ) বিকেলে শহরের জইল্যার দোকান এলাকার শাহীন টাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্স থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ফরিদা বেগম বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি দক্ষিণ বাইশারী এলাকার মৃত ফজলুর রহমানের মেয়ে।
অ্যাম্বুলেন্স চালক মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, সকালে নোমান নামে একজন সদর হাসপাতাল থেকে মরদেহ নিয়ে বাইশারী যাবেন বলে অ্যাম্বুলেন্সে ওঠেন। শহরের বাস টার্মিনাল এলাকায় পৌঁছালে পানি পানের জন্য নেমে উধাও হয়ে যান নোমান। পরে ওই নারীর স্বজনদের ফোনে বিষয়টি জানাই।
ফরিদার স্বজনেরা জানান, স্বামীর সাথে বিচ্ছেদের পর বিদেশে পাড়ি জমান ফরিদা। তিন বছর থাকার পর দেশে আসেন। এরই মধ্যে পরিচয় হয় বাইশারী এলাকার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ নোমানের সাথে। দীর্ঘদিনের সম্পর্কের পর পরিবারের অজান্তে ১৩ মার্চ নোমানের সাথে কক্সবাজার বেড়াতে আসেন ফরিদা। সকালে অ্যাম্বুলেন্স চালকের কাছ থেকে ফরিদার মৃত্যুর খবর জানতে পারেন স্বজনেরা।
ফরিদার বোন রুবি আক্তার বলেন, বিদেশ থেকে আসার পর নোমানের সাথে সম্পর্ক হয় তার। বিয়ে করবে বলে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে নোমান। হয়তো বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় তাকে হত্যা করে পালিয়েছে নোমান।
ফরিদার ভাবি রাফিজা আক্তার বলেন, নোমান বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সম্পর্ক করেছে। টাকা-পয়সাও নিয়ে গেছে সব। বিদেশে থাকাকালীন নোমানকে অনেক টাকা দিয়েছে ফরিদা। ফরিদার হাতে-পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
তবে সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইন্দ্রজিং বর্মণ বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মরদেহ মর্গে পাঠিয়েছি। তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাইনি।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) বিপুল চন্দ্র দে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে ওই নারীর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : কক্সবাজার নারীর মরদেহ অ্যাম্বুলেন্স
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh