বাগেরহাটের ৩৯ ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নৌকার চেয়ারম্যান

প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাগেরহাটের ৭০টি ইউনিয়নে আগামী ১১ এপ্রিল ভোট হওয়ার কথা। এর মধ্যে ৩৯টিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী রয়েছেন। মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ছিল বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টা পর্যন্ত। এ সময়ের পরই একক প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। রাতে বাগেরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

আজ (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে জেলা নির্বাচন অফিসে গণবিজ্ঞপ্তিতে বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।

বাগেরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ বলেন, ‘১১ এপ্রিল প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাগেরহাটে ৭০টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ৩৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী রয়েছেন। এ ছাড়াও বেশকিছু ওয়ার্ডে একক প্রার্থী রয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকালে বিনাপ্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।’

জেলা নির্বাচন অফিস জানায়, মোল্লাহাট ও মোংলা উপজেলার সবকটি ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া অন্য সাতটি উপজেলায়ও অনেক ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী রয়েছেন।

মোল্লাহাট উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে ছয়টিতেই চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। নির্বাচিতরা হলেন– উদয়পুরে এস কে হায়দার মামুন, চুনখোলায় মনোরঞ্জন পাল, কুলিয়ায় মো. মিজানুর রহমান, গাওলায় শেখ রেজাউল কবীর, কোদালীয়ায় শেখ রফিকুল ইসলাম, আটজুড়িতে মো. মনিরুজ্জামান মিয়া।

মোংলা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নেও ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিতরা হলেন– সোনাইলতলায় নাসরিন আক্তার নাজিনা, বুড়িরডাঙ্গায় উদয় শংকর বিশ্বাস, চিলায় গাজী আকবর হোসেন, চাঁদপাই মোল্লা মো. তরিকুল ইসলাম, সুন্দরবন ইউনিয়নে মো. একরাম ইজারাদার এবং মিঠাখালীতে উৎপল কুমার মন্ডল।

বাগেরহাট সদরের সাতটির মধ্যে ছয়টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। নির্বাচিতরা হলেন– বেমরতায় মনোয়ার হোসেন টগর, কাড়াপাড়ায় শেখ মহিতুর রহমান পল্টন, বিষ্ণুপুরে এমডি মাসুদ রানা, বারুইপাড়ায় আলহাজ¦ হায়দার আলী মোড়ল, খানপুরে ফকির ফহম উদ্দিন, ডেমায় মো. মনি মল্লিক।

শরণখোলা উপজেলার চারটির মধ্যে তিনটি ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। নির্বাচিতরা হলেন– সাউথখালীতে মো. মোজাম্মেল হেসেন, রায়েন্দায় আজমল হোসেন মুক্তা, খোন্তাকাটায় জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন।

রামাপালেও ১০টির মধ্যে পাঁচটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। নির্বাচিতরা হলেন- মল্লিকেরবেড়ে মো. সাবির আহমেদ তালুকদার, হুড়কায় তপন কুমার গোলদার, ভোজপাতিয়ায় তরফদার মাহফুজুল হক টুকু, রামপাল সদরে মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার, বাশতলীতে মো. মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল।

চিতলমারীতে সাতটির মধ্যে চারটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। নির্বাচিতরা হলেন– হিজলায় কাজী আবু শাহিন, শিবপুরে ওয়ালিউজ্জামান জুয়েল, চর বানিয়ারীতে অর্চণা রানী ঝর্ণা বড়াল, সন্তোষপুরে বিউটি আক্তার।

ফকিরহাটে সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে চারটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। নির্বাচিতরা হলেন– ফকিরহাট সদর শিরিনা আক্তার কিসলু, বেতাগায় ইউনুচ আলী, পিলজংয়ে মোড়ল জাহিদুল ইসলাম, নলদা-মৌভোগে সরদার আমিনুর রশিদ। 

কচুয়ার সাতটির মধ্যে চারটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। নির্বাচিতরা হলেন– বাধালে নকীব ফয়সাল অহিদ, গোপালপুরে এস এম আবু বক্কর সিদ্দিক, গজালিয়ায় এস এম নাসির উদ্দিন, রাড়ীপাড়ায় নাজমা আক্তার।

মোরেলগঞ্জে ১৬টির মধ্যে একটি ইউনিয়ন নিশানবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত হয়েছেন।