জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের জিডি

বাগেরহাটের চিতলমারীতে হাট-বাজার ইজারার দরপত্র কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনায় ২৪ ঘণ্টা পার হলে মামলা হয়নি। তবে গালিগালাজের ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি করেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল।

বুধবার (৩১ মার্চ) রাতে চিতলমারী থানায় এই ডায়েরি করেন তিনি। এদিকে উপজেলা পরিষদের সামনে বসে চেয়ারম্যানকে গালিগালাজের প্রতিবাদে উপজেলার জনপ্রতিনিধিরা জরুরি সভা করেছেন। সভা থেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং ওহিদুজ্জামানের শাস্তির দাবি করেন।

বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা চেয়ারম্যানের কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহতাব উদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান স্বপ্না আক্তারসহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।

চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আহত গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, রনজিত কুমার বাড়ই শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় আমি তার পক্ষে উপজেলা পরিষদে দরপত্রটি জমা দিতে আসি। যথারীতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে রাখা টেন্ডার বাক্সে দরপত্র ফেলি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ওহিদুজ্জামান খলিফা ও তার ভাই মাসুদ খলিফা এবং সুকুমার ঘটক আমাকে উপজেলা চত্বরে বসে মারধর করে। আমাকে মারধর করতে করতে উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে কোদালের আছাড়ি ও বরফ ভাঙ্গা মুগুর দিয়ে আমাকে আবারো পিটায়। এক পর্যায়ে আমাকে আওয়ামী লীগের অফিসে ফেলে রেখে তারা চলে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল বলেন, দরপত্র জমা দেয়ায় পরিষদের বারান্দা থেকে ধরে নিয়ে গৌতম কুমার বিশ্বাস নামে এক যুবককে বেধড়ক মারধর করেছে ওহিদুজ্জামান খলিফা ও তার লোকেরা। পরবর্তীতে ওহিদুজ্জামান আমাকে উদ্যেশ্যমূলকভাবে গালিগালাজ শুরু করে। এ সময় সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ নিজাম উদ্দিন প্রতিবাদ করলে তাকেও গালিগালাজ করে ওহিদুজ্জামান। এই ঘটনায় আমি চিতলমারী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। পুলিশই পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

বুধবার (৩১ মার্চ) দুপুরে চিতলমারী উপজেলার চরবানিয়ারি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঠিকাদার রনজিত কুমার বাড়ইয়ের পক্ষে খাসেরহাট বাজার ইজারার দরপত্র জমা জমা দেয় গৌতম কুমার বিশ্বাস। এ সময় উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে থেকে মারতে মারতে উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিসে নিয়ে যায় ওহিদুজ্জামান খলিফা ও তার লোকজন। সেখানে আরেক দফায় গৌতমকে বেধড়ক মারপিট করে তারা। পরে উপজেলা পরিষদের সামনে এসে উপজেলা চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়ালের নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ওহিদুজ্জামান খলিফা। চিতলমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ নিজাম উদ্দিন প্রতিবাদ করলে তাকেও গালিগালাজ করে ওহিদুজ্জামান। এসময় চেয়ারম্যান নিজামের লোক ও ওহিদুজ্জামানের লোকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শরিফুল হক বলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। আমরা তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

বিষয় : বাগেরহাট

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //