সালথায় হামলা: পুলিশের মামলা, আসামি ৪ হাজার

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় লকডাউন কার্যকর করা নিয়ে পুলিশের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষে ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ। 

এ ঘটনায় চার হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) রাতে সালথা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। তিনি ঘটনার রাতে ফুকরা বাজার এলাকায় জনতার হামলায় আহত হন।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুজ্জামান বলেন, মামলায় ৮৮ জনের নাম উল্লেখসহ আরো তিন থেকে চার হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এসআই মিজানুর রহমান মঙ্গলবার রাতে এই মামলা করেছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটজনকে আটক করেছে পুলিশ।

তিনি আরো বলেন, থানায় হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করে। 

করোনা মোকাবিলায় বিধিনিষেধ কার্যকর করতে ফরিদপুরের সালথায় লোকজনকে পেটানো হয়েছে- এমন অভিযোগে গত সোমবার (৫ এপ্রিল) রাতে থানা ও উপজেলা কমপ্লেক্স ঘেরাও করেন স্থানীয় লোকজন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি-এসি ল্যান্ড) গাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয়দের সাথে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েক দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় একজন নিহত হয়।

সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত সালথা থানা, উপজেলা কমপ্লেক্সসহ ওই এলাকার বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন উত্তেজিত জনতা। বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে এ তাণ্ডব চালানো হয়। পুলিশ রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে রাত ১২টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সালথার সহিংস ঘটনা নিয়ে আরো মামলা হবে বলে জানা গেছে। বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়ে তাণ্ডব চালানোয় সেসব প্রতিষ্ঠান আগামী দু’এক দিনের মধ্যে মামলাগুলো করবে।

সালথার বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত আছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশ ও র‍্যাবের পাশাপাশি টহল দিচ্ছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //