বরিশালে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ২

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের ঊলানিয়া (উত্তর) ইউনিয়নের শোলদী গ্রামে বিয়ে বাড়িতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে নির্বাচনি সহিংসতায় দুজন নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে আরো ১০ জন।

নিহতরা হলেন, স্থানীয় সামসুল হকের ছেলে এবং দিনমজুর সিদ্দিকুর রহমান (৩০) ও একই গ্রামের বাসিন্দা এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম ঢালীর ভাই আব্দুস সাত্তার ঢালী (৫৭)। এদের মধ্যে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নেয়ার পথে আব্দুস সত্তারের মৃত্যু হয়।

অপরদিকে, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছে পুলিশ। তাদের একজনের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ল্যাত্রা গ্রামে। তবে তাদের নাম জানাতে অপরাগতা জানিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, উত্তর ঊলানিয়া ইউনিয়ের ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পূর্বে থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে। কিছুদিন আগে এ নিয়ে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম ঢালীর বাড়িতে তার নাতনির বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছিল। এ সময় একই গ্রামের কামাল বেপারী ও সুমন বেপারীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বিয়ে বাড়িতে হামলা করে।

এ নিয়ে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়ায়। তখন কামাল ও সুমন বেপারীর নেতৃত্বাধিন সন্ত্রাসীরা এলোপাথারী কুপিয়ে এবং পিটিয়ে রবিউল ইসলাম ওরফে রবি মেম্বারের ভাই আব্দুস সত্তার ঢালীসহ ১০-১২ জনকে গুরুতর আহত করে।

এ সময় তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলেই দিনমজুর সিদ্দুকুর রহমান (৩০) নিহত হন। এছাড়া ইউপি সদস্যর ভাই ছত্তার ঢালীগে মুমূর্ষ অস্থায় বরিশালে নেয়ার পথে দুপুর দেড়টার দিকে মারা যান। নিহত দুজনের মধ্যে দিনমজুর সিদ্দিকুর রহমান মেম্বারের বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ির ক্ষেতে কাজ করত। ঘটনা দেখে তিনি ক্ষেত থেকে উঠে রাস্তায় দাঁড়ালে সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাথারী কুপিয়ে হত্যা করে বলে দাবি স্থানীয়দের।

নিহতের স্বজন এবং স্থানীয়দের অভিযোগ হামলাকারীদের অধিকাংশের বাড়ি মেহেন্দিগঞ্জের বাইরে। তাদের ভাড়া করে আনা হয়েছে। পুলিশ যে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছে তারা তিন জনই মেহেন্দিগঞ্জের বাইরের লোক।

মেহেন্দিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম বলেন, নির্বাচনি বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষ এবং হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে থানায় ধরে আনা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়ের পাশাপাশি উপজেলার প্রতিটি গুরুত্বপুর্ণ মোড় এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ১১ এপ্রিল উলানিয়ায় নির্বাচনি সহিংসতার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় সাইফুল সরদার নামের এক আওয়ামীলীগ নেতা নিহত হয়। ওই ঘটনার রেশ না কাটতেই পুনরায় দুজন খুনের ঘটনা ঘটলো।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //