বিএম কলেজে উপাধ্যক্ষের যোগদান নিয়ে উত্তেজনা

বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে নতুন উপাধ্যকক্ষের যোগদান নিয়ে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তার যোগদান ঠেকাতে রবিবার (২৩ মে) সকাল থেকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করায় উপাধ্যক্ষ পদে যোগদান করতে আসতে পারেননি এ এস কাইউম উদ্দিন আহমেদ।

তবে উপাধ্যক্ষ পদে পদোন্নতি পাওয়া কাইউম উদ্দিন আহমেদের অভিযোগ, স্বার্থান্বেষী শিক্ষক মহল তার যোগদান ঠেকাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নাম করে ছাত্রলীগকে ব্যবহার করছে। এমনকি ওই মহল তাকে মুঠোফোনে কল করে হুমকি দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।

এদিকে, বিএম কলেজ ছাত্রলীগের অপর একটি গ্রুপের কয়েকজন নেতা ও দুজন শিক্ষকের দাবি, এ এস কাইউম উদ্দিন আহমেদের সাথে পূর্বে থেকেই বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের একাংশের নেতাদের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। পাশাপাশি কলেজ শিক্ষক পরিষদের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আলামিন সরোয়ারের সাথেও তার বিরোধ রয়েছে। সেই সূত্র ধরেই তাকে যোগদানে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

জানা গেছে, পূর্বের উপাধ্যক্ষের বিদায়জনিত করণে ওই পদে পদায়ন করা হয় বিএম কলেজ শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ এস কাইউম উদ্দিন আহমেদকে। অফিসিয়াল নির্দেশনা অনুযায়ী, রবিবার তার নতুন পদের দায়িত্ব গ্রহণের কথা ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে বিএম কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে।

রবিবার সরেজমিনে বিএম কলেজ ক্যাম্পাসে দেখা যায়, এ এস কাইউম উদ্দিন আহমেদের যোগদান ঠেকাতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন। তারা এ এস কাইউম উদ্দিনকে দুর্নীতিবাজ আখ্যায়িত করে স্লোগান দিচ্ছেন। তবে যারা ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগ বহিরাগত অছাত্ররা ছিল বলে দাবি কাইউম উদ্দিনের।

তাছাড়া ইতিপূর্বে বিএম কলেজের সমাজকল্যাণ বিভাগে ভাঙচুর এবং বরিশাল নগরীর টপটেন শো-রুমে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামিরাও শিক্ষকের যোগদান আটকানোর বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা গেছে।

আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া সাধারণ শিক্ষার্থী পরিচয়ে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তারা বলেন, এ এস কাইউম উদ্দিন ইতিপূর্বে বিএম কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সে সময় তিনি এই কলেজের নানা অনিয়ম এবং দুর্নীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। দুর্নীতির মাধ্যমে কলেজ ফান্ড থেকে টাকা উত্তোলন করে বিতর্কের সৃষ্টি করেছিলেন তিনি।

তাদের দাবি, কাইউম উদ্দিন যোগদান করলে বিএম কলেজে পুনরায় দুর্নীতি ঢুকে পড়বে। এ কারণে ক্যাম্পাসকে দুর্নীতি মুক্ত রাখতে বিক্ষোভ করছি। আমাদের দাবি একটাই, কাইউম উদ্দিনকে উপাধ্যক্ষ পদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে হবে।

বিএম কলেজের অধ্যক্ষ ড. গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘সকাল থেকে কিছু ছেলেরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিয়েছিল। তবে তারা লিখিতভাবে আমাকে কিছু জানায়নি। শুনেছি উপাধ্যক্ষ পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত শিক্ষক এ এস কাইউম উদ্দিন যাতে যোগদান করতে না পারে, সে জন্য তারা অবস্থান নিয়েছিল। আমরা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছি। কাইউম সাহেবের সাথেও কথা বলেছি। তিনি যোগদান করতে এলে আমি নিয়ম অনুযায়ী তার যোগদান গ্রহণ করব।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

বিষয় : বরিশাল

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //